ম্যাচ শেষে যশ দয়াল জানিয়েছেন ‘ আমার মনে হয় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আসে ম্যাচের শেষ ওভারে যখন আমি বল করছিলাম। আমি প্রথম বলেই একটি ছক্কা হজম করি। পরের বলেই আমি মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের উইকেট নিই।তাই আমার মতে হয়ত এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
আরসিবির যশ দয়াল, দলকে জেতানোর পর। ছবি- এপি
শুভব্রত মুখার্জি:- চলতি মরশুম তো বটেই আইপিএলের ইতিহাসে সেরার সেরা কামব্যাক নিঃসন্দেহে করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মরশুমে নিজেদের প্রথম আট ম্যাচের মধ্যে সাত ম্যাচেই তারা হেরে যায়। এই অবস্থায় অতি বড় আরসিবি ভক্তও আশা করেননি যে আরসিবি প্লে অফে যাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটাই হয়েছে। নিজেদের পরবর্তী শুধু ছয়টি ম্যাচ জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত হত না আরসিবির।মেলাতে হত সমস্ত সমীকরণ। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিএসকের বিরুদ্ধে জিতে সমস্ত সমীকরণ মিলিয়ে তারা চলে গিয়েছে প্লে অফে।সিএসকে ম্যাচে আরসিবির হয়ে বল এবং ব্যাট হাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে একাধিক ক্রিকেটারের। ম্যাচের শেষ ওভারে বল করে নিজের নার্ভ ধরে রেখে দলকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন যশ দয়াল। তবে আরসিবির হয়ে ম্যাচ ঘোরানো মুহূর্ত হিসেবে তিনি বিরাটের ব্যাটিং অথবা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বোলিং স্পেলকে বাছেননি!
যশ দয়ালের মতে ম্যাচের শেষ ওভারে ধোনির আউটটাই ম্যাচের রঙ পাল্টে দেয়। মরণ বাঁচন ম্যাচে আরসিবিকে জয় এনে দেয় বলে ধারণা যশের। এই ম্যাচ আরসিবিকে জিতলেই হত না তাদের মেলাতে হত সমীকরণ। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করলে তাদের জিততে হত অন্ততপক্ষে ১৮ রানে। দ্বিতীয় ব্যাট করলে সিএসকে যাই স্কোর করুক না কেন তা করতে হত ১১ বল বাকি থাকতে। এমন অবস্থায় প্রথমে ব্যাট করে ২৭ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে আরসিবি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে তারা প্লে অফ নিশ্চিত করে। শেষ ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন যশ দয়াল। শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ধোনির মারা একটি ১১০ মিটার লম্বা ছক্কা।এর পাশাপাশি তিনি তিনটি ডট বল করেন,একটিতে উইকেট নেন এবং একটি বলে সিঙ্গেলস হয়।
ম্যাচ শেষে যশ দয়াল জানিয়েছেন ‘ আমার মনে হয় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আসে ম্যাচের শেষ ওভারে যখন আমি বল করছিলাম। আমি প্রথম বলেই একটি ছক্কা হজম করি। পরের বলেই আমি মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের উইকেট নিই।তাই আমার মতে হয়ত এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। সেই সময়ে আমার মাথায় কিছুই ছিল না। শুধু এটাই ভাবছিলাম যে একটা ভালো বল করতে হবে। আমি স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাচ্ছিলাম না একেবারে। আমাকে খালি ভালো বল করতে হত। এই ভাবনা থেকেই আত্মবিশ্বাস পাই। আর সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই আমি শেষ ওভারে ভালো বল করতে সমর্থ হয়েছি। যা আমাদেরকে জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি পৌঁছে দিয়েছে প্লে অফে।’