দেখে বোঝার উপায় নেই চার দিনের ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলা হচ্ছে। বরং স্কোরকার্ড দেখে আইপিএল মনে হওয়াই স্বাভাবিক। যেমন ঝড়ের গতিতে রঞ্জি মরশুম শুরু করল তিলক বর্মার নেতৃত্বাধীন হায়দরাবাদ দল, নিঃসন্দেহে সারা মরশুমে তাদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে প্রতিপক্ষ দলগুলিকে।
সোভিমায় প্লেট গ্রুপের প্রথম ম্যাচে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামে হায়দরাবাদ। নাগাল্যান্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে হায়দরাবাদকে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় হোম টিম। ম্যাচের এক্কেবারে শুরুতেই ওপেনার রোহিত রায়াড়ুর উইকেট হারিয়ে বসে হায়দরাবাদ। ৬ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন রোহিত। দলগত ৮ রানে ১ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ।
তবে তন্ময় আগরওয়ালের সঙ্গে রাহুল সিং গেহলট ক্রিজে যোগ দেওয়ার পরেই ম্যাচের রং বদলে যায়। ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে হায়দরাবাদ। প্রথম দিনের লাঞ্চে ৩৬.৪ ওভার ব্যাট করে তারা তুলে ফেলে ২ উইকেটে ২৩৫ রান। ওপেনার তন্ময় আগরওয়াল ১২টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে ১০৯ বলে ৮০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়ার পরেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ঘোষিত হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লাঞ্চে ১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা রাহুল সিং গেহলট। ম্যাচের সেই মুহূর্তে ১০৫টি বল খেলে তিনি ১৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। রাহুল ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৪০ বলে। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে।
লাঞ্চের পরে রাহুল ব্যক্তিগত ১৫০ রানের গণ্ডি টপকান ১৮টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১১১ বলে। তিনি ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৩টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে মোটে ১৪৩ বলে। রঞ্জি ট্রফি তথা ভারতের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির সর্বকালীন রেকর্ড। রঞ্জি তথা ভারতের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে কম বলে ডাবল সেঞ্চুরির করার রেকর্ড রয়েছে রবি শাস্ত্রীর। তিনি ১৯৮৪-৮৫ মরশুমে তৎকালীন বম্বের হয়ে বরোদার বিরুদ্ধে এমন নজির গড়েন।