সিনিয়র ওমেন্স ওয়ানডে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং মহারাষ্ট্রের কিরণ নভগিরের। ইনিংসে ৮টি লম্বা ছক্কা মেরে নজির গড়লেন তিনি। এদিন প্রতিযোগিতায় রেলওয়েসের মুখোমুখি হয় মহারাষ্ট্র। সেখানেই ব্যাট হাতে এই কামাল করে দেখান তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচে পরাজিত হয় তাঁর দল। কিরণের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। মাসল পাওয়ার ব্যবহার করে বড় বড় ছক্কা হাঁকানো মোটেও মুখের কথা নয়। কিন্তু ব্যাট হাতে এই কঠিন কাজই ক্রিজে দাঁড়িয়ে অনায়াসে করে দেখান কিরণ। এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলওয়েস। শুরুটা ভালোই করেছিল তাদের বোলাররা। ৬৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মহারাষ্ট্র। তারপর চতুর্থ উইকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন অধিনায়ক এএ পাতিল এবং মাগরে। দু’জনে মিলে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। হাফ সেঞ্চুরি করেন পাতিল (৫০) এবং মাগরে (৫৪)।
এরপর ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত ব্যাটিং করেন কিরণ নভগিরে। ২৫ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন ৮টি ছক্কা এবং একটি চার। শেষের দিকে মহারাষ্ট্রের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৪৮.৪ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান তুলতে সক্ষম হয় মহারাষ্ট্র। কিরণ বরাবরই নিজের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। এদিন ব্যাট হাতে সেই কাজটাই করে দেখালেন তিনি আরও একবার। গুরুত্বপূর্ণ সময় দলের জন্য রান করেন তিনি। শুধু তাই নয়, সপ্তম উইকেটের জন্য ৩৮ বলে ৭৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দেন দ্যানেশ্বরী পাতিল।
অসাধারণ ছক্কা মারার ক্ষমতার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই নাম তৈরি করেছেন কিরণ। তিনি ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগে ইউপি ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেন। সেখান থেকেই তিনি সকলকে মুগ্ধ করে আসছেন। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে উঠছেন কিরণ। তাঁর আজকের পারফরম্যান্স দেখার পর এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে আসন্ন মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে নির্বাচকরা কিরণের উপর আরও বেশি করে নজর রাখবে।
উল্লেখ্য, রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে বেকায়দায় পড়লেও শেষ পর্যন্ত জয় হাসিল করে নেয় রেলওয়েস। ৫০ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫৫ রানের। তবে বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিল মহারাষ্ট্র। ৭৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে রেলওয়েসকে চাপে ফেলে দিয়েছিল তারা। ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৩ বলে ৭৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে রেলওয়েসকে জয় পেতে সাহায্য করেন মোনা। এছাড়াও ৭১ বলে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সিমরন দিল বাহাদুর। ২ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রেলওয়েস।