শুভব্রত মুখার্জি: লাল বলের ক্রিকেট অর্থাৎ টেস্টের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালামের প্রশিক্ষণাধীন ইংল্যান্ড দল। তাদের টি-২০ ঢঙে টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং, খেলাকে যেমন গতিময় করে তুলেছে, তেমন করে তুলেছে আকর্ষণীয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইংল্যান্ড এই নয়া ধরনের ক্রিকেট, অর্থাৎ ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজির ক্রিকেট খেলে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেয়েছে। যার সাম্প্রতিকতম নিদর্শন নিঃসন্দেহে হায়দরাবাদ টেস্টে জয়। যেখানে প্রায় ১৯০ রান পিছিয়ে থেকেও, ২৮ রানে টেস্ট ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড দল। ইংল্যান্ডের এই নয়া পদ্ধতির ক্রিকেট নিয়েই মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার লান্স ক্লুজনার। তাঁর মতে, অন্যান্য দলের এই ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে ক্রিকেট খেলতে যাওয়াটা বোকামির হবে।
আরও পড়ুন: শুভমন, শ্রেয়সরা ব্যাট হাতে টেস্টে ব্যর্থ, জায়গা কি ফস্কে যাবে? কী বললেন ভারতের ব্যাটিং কোচ?
গত সপ্তাহে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত স্মরণীয় একটা সপ্তাহ ছিল। যেখানে হায়দরাবাদে ভারতীয় দলকে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। পাশাপাশি গাব্বাতেও অনভিজ্ঞ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল হারিয়ে দিয়েছে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া দলকে। কয়েক দিন পরেই দ্বিতীয় সারির দক্ষিণ আফ্রিকা দল টেস্টে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে। এই সিরিজে প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে, কারণ তাদের তারকা ক্রিকেটাররা ব্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ লিগ এসএ২০ খেলতে। এই সব বিষয় নিয়েই মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার লান্স ক্লুজনার। ভক্তরা তাঁকে আবার আদর করে জুলু বলে ডাকেন। বর্তমানে তিনি এসএ২০ লিগে ডারবান সুপার জায়ান্টসের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: রজত পতিদার বনাম সরফরাজ খান- কে সুযোগ পাবেন বিশাখাপত্তনমে? মুখ খুললেন ভারতের ব্যাটিং কোচ
ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বলতে গিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটা দলের উচিত এমন একটা স্টাইল খুঁজে বের করা, যে স্টাইলটা তাদের খেলার ধরনকে সমর্থন করে। যে স্টাইলটায় তারা খেলতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে। অন্যের স্টাইল কপি করে খেলা খুবই কঠিন। এটা দেখে খুব ভালো লাগছে যে, ইংল্যান্ড এই ধরনের (ব্যাজবল) ক্রিকেট খেলছে এবং ধারাবাহিক ভাবে সফলতার সঙ্গে খেলছে। এটা ওদেরকে মানিয়েছে। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, এই স্টাইল সবাইকে মানাবে। এই স্টাইলে সবাই খেলতে পারবে। সবাই যদি এই এক স্টাইলে খেলতে যায়, তাহলে সেটা খুব বড় বোকামি হয়ে যাবে। এতে নিজস্ব সত্ত্বাকে তারা বিসর্জন দেবে। ফলে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবে না। অন্য সব দলকে তাদের খেলার ধরনটা খুঁজে পেতে হবে, যেটা তাদের সিস্টেম এবং তাদের ক্রিকেটাররা মানিয়ে নিতে পারে। ব্যাজবল ক্রিকেট দেখতে খুবই ভালো লাগে। তবে আমি কখনও-ই মনে করি না, ওই একটা স্টাইল সব দলের জন্য উপযোগী।’