এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যে আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের একটি বিতর্কিত এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র জলঘোলা হচ্ছে। এদিকে আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর, রান নিতে গিয়ে ডেভিস রিভিউ উইন্ডো মিস করেন, যার ফলে তাঁকে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। যদিও রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে, বলটি মোটেও স্টাম্পে লাগত না। ফলে কোনও ভাবেই ব্রেভিস আউট ছিলেন না।
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল?
আরসিবি-র দেওয়া ২১৪ রান তাড়া করার সময়ে সিএসকে-র ইনিংসের ১৭তম ওভারে ঘটে এই ঘটনাটি। লুঙ্গি এনগিদি হাঁটুর কাছাকাছি উচ্চতায় একটি ফুলটস বল করেন, যেটা ব্রেভিসের প্যাডে লাগে, যার ফলে আম্পায়ার তৎক্ষণাৎ আঙুল তুলে দেন। এদিকে তখন ব্রেভিস এবং রবীন্দ্র জাদেজা তখন এক রান পূর্ণ করছিলেন। তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তও ছিলেন। এর পর জাদেজার সঙ্গে আলোচনাও করতে গিয়ে কিছুটা সময় নষ্ট করেন ব্রেভিস। রিভিউ নেওয়ার জন্য ১৫ সেকেন্ডের সময়সীমা থাকে। তবে ব্রেভিস যখন রিভিউ নিতে চান, তখন দেখা যায় তাঁর সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েেছে।
আরও পড়ুন: হয়তো পরের বছরও IPL খেলবে ও… ধোনির ছেলেবেলার কোচই এবার বড় দাবি করলেন শিষ্যের অবসর প্রসঙ্গে
এই পরিস্থিতিতে দুই ফিল্ড আম্পায়ার নীতিন মেনন এবং মোহিত কৃষ্ণদাসের সঙ্গে ব্রেভিস এবং জাদেজাকে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু ততক্ষণে সবটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। নিজের খেলা প্রথম বলেই ব্রেভিসকে আউট হতে হয়েছিল, তাই আউট না হয়েও, গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। পরে রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায় যে, বলটি কোনও ভাবেই স্টাম্পে লাগত না। অর্থাৎ বেবি এবি আউট ছিলেন না।
সময়ে রিভিই না নেওয়ায় বিরক্ত ফ্লেমিং
ম্যাচের পর সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা একটা বড় মুহূর্ত ছিল। ডিআরএসের সুযোগ ছিল কিনা, আমি জানি না। যখন ব্রেভিসকে আউট দেওয়া হয়, তখন সে রানের জন্য দৌড়াচ্ছিল, এবং আমরা এ ব্যাপারে কোনও স্পষ্টতা পাইনি। ব্রেভিস সময়মতো রিভিউ নিয়েছিল কিনা, আমি এর উত্তর জানি না।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টাইমার শুরু হয়ে যায়। এদিকে তখন এমন পরিস্থিতি চলে ছিল যে রিভিউ নিতে দেরী হয়, আর আম্পায়ারের মতে, তখন সময় শেষ হয়ে গেছে। এদিকে, যেহেতু ওকে আউট দেওয়া হয়েছিল, তাই আমরা রানটাও পেতাম না। আমরা উইকেটনা হারালেও, আমাদের পাঁচ রান দেওয়া হত না। যাইহোক এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়।’