ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্টে ভারতীয় দল হারের মুখে পড়তেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে টিম ইন্ডিয়ার নির্বাচকরা। শ্রেয়স আইয়ারের পারফরমেন্স লাল বলের ক্রিকেটে মোটামুটি ভালো হওয়া সত্বেও তাঁকে দলে না রেখে সাই সুদর্শনদের টেস্টে নিয়ে গিয়ে অভিষেক করানো হয়েছে ইংল্যান্ডে,তিনি ব্যর্থ হয়েছেন প্রথম সুযোগে। করুণ নায়ারও তেমন ছন্দে ছিলেন না প্রথম টেস্টে।
এদিকে জসপ্রীত বুমরাহকে তিন টেস্টে খেলানো হতে পারলে, শামিকেও ১টা বা দুটো টেস্টে খেলানো যেতে পারত তাঁর অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে। কিন্তু ফিটনেসের কারণ দেখিয়ে তাঁকেও বাদ দেওয়া হয়েছে দল থেকে। রবীন্দ্র জাদেজাকে প্রথম টেস্টে খেলানো হলেও তিনি নজর কাড়তে ব্যর্থ, আর এই সবের জেরেই এবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতীয় নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর।
হেডিংলে টেস্টে রবীন্দ্র জাদেজা ৪৭ ওবারে বোলিং করে ১৭২ রান দিয়েছেন, নিয়েছেন ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট। জসপ্রীত বুমরাহ ছাড়া ভারতীয় বোলিংকে নেতৃত্ব দেওয়ার লোকের অভাবেই টিম ইন্ডিয়াকে হারতে হয়েছে। যা দেখেই অস্ট্রেলিয়ার তারকা ইয়ান চ্যাপেল বলছে, যে বোলাররা একটু ব্যাট করতে পারে তাঁদের না খেলিয়ে বরং যে যেখানে স্পেশালিস্ট, তাঁকে সেই কাজেই লাগানো উচিত।
তিনি বলছেন, ‘ইংল্যান্ডের পরিবেশে জাদেজা কখনই প্রথম সারীরি স্পিনার নয়। ওর ব্যাটিং যদি ভালো হয়, তাহলে ও সাপোর্টিং স্পিনার হিসেবে খেলতে পারে। নাহলে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। যদি ভারতকে এই সিরিজে সমতা ফেরাতে হয়, তাহলে ওদের ব্যালেন্স টিম করতে হবে ’।
ভারতীয় দল যে স্ট্র্যাটজি নিয়েছে অলরাউন্ডার খেলানোর যাতে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে লোয়ার মিডল অর্ডার রান করে, সেটাও মনে ধরেনি চ্যাপেলের। শার্দুল ঠাকুর গত ম্যাচে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬ ওভার এবং দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট নেওয়ার পরও মোটে ১০ ওভারে বোলিং পেয়েছেন, যা দেখেই চ্যাপেল বলছেন, ‘আমি মনে করিনা এমন একজন ব্যাটারকে দলে রাখা উচিত যে বোলিংও করতে পারে, শুধু টপ অর্ডারের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে যাকে খেলাতে হবে। প্রথম ছয় ব্যাটারের ওপর ভরসা রাখতে হবে যে ওরা রান করবে, সেক্ষেত্রে সেটাই সেরা কম্বিনেশন টেস্টে ২৯ উইকেট নেওয়ার জন্য। নাহলে অধিনায়কের হাতেও বিকল্প কমে যায়। নির্বাচকরা এখন চাপের মধ্যে রয়েছে। ব্যাটার আর বোলারদের যদি ঝুঁকি নিয়ে হয় রান করা এবং উইকেট নেওয়ার জন্য, তাহলে তো নির্বাচকদেরও সাহসের সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে’।