পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর আগেই টিম হাডেলের সময় ভারতীয় দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার লোকেশ রাহুল, দলের বাকিদের মোটিভেশন বাড়ানোর জন্য পেপ টক দিচ্ছিলেন, এমনিতে সেই কাজ করে থাকেন অধিনায়ক, সহ অধিনায়করা। যদিও রাহুলের পেপ টকে তখনকার মতো কাজ হয়নি, কারণ জ্যাক ক্রলি এবং বেন ডাকেটরা দলকে ভালোই টেনে নিয়ে যান লক্ষ্যমাত্রার দিকে।
এরপর অবশ্য লোকেশ রাহুল একপ্রকার অধিনায়কের মতো করেই ফিল্ড সেট করা এবং বোলারদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। আর তাতেই ফসল ফলে। বৃষ্টির পর দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু সময়ই গিলের হাত থেকে বেসরকারিভাবেই যে অধিনায়কত্বে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রাহুল। তিনিই দলকে গাইড করতে থাকেন, আর তাতেই টিম ইন্ডিয়ার মধ্যে যেন একটা আলাদা শক্তি আসে।
বুমরাহর বোলিং এন্ড থেকেই প্রসিধ কৃষ্ণা বোলিং করে জ্যাক ক্রলিকে আউট করেন, আর কেএল রাহুলই স্লিপে দাঁড়িয়ে দুরন্ত ক্যাচ নেন। ভারতীয় দল বেশ কয়েকটি ক্যাচ এই ম্যাচে মিস করলেও রাহুল ভালোই ধরেন। ১৮৮ রানের মাথায় সেটাই প্রথম উইকেট ইংল্যান্ডের। এরপরই প্রসিধ কৃষ্ণা ফের নিজের পরের ওভারে বোল্ড আউট করে দেন ওলি পোপকে। এক্ষেত্রে পোপ প্লে ডাউন হন।
এই আউটের পরই লোকেশ রাহুল সব ক্রিকেটারদের আবারও ডেকে নেন টিম হাডেলের জন্য। সেখানেই রাহুল ক্রিকেটারদের ফের পেপ টক দেন। টেস্টে অধিনায়কত্বের দাম ঠিক কতটা সেটাই বোঝা যায় এই ছবি দেখে। যা দেখে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসির হোসেনও বলতে থাকেন, ‘যদি এখন মাঠের দিকে নজর রাখো তাহলে দেখতে পাবে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেএল রাহুল। হাত দিয়ে সবাইকে ইশারা করছে ও, ফিল্ড সেটিংও করছে। এই পরিবর্তনটা কাজেও লাগছে ’।
ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দিক থেকে ঋষভ পন্ত বা শুভমন গিলের থেকে অনেক এগিয়ে লোকেশ রাহুল। তিনি টিম ইন্ডিয়াকে তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর আইপিএলেও দীর্ঘদিন ক্যাপ্টেন্সি করে আসছেন। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ শুরুর আগেই লোকেশ রাহুল বলেছিলেন, যখনই গিলের দরকার পড়বে মাঠে আলোচনা করার জন্য বা পরামর্শ পাওয়ার জন্য, তখনই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আর সেই চিত্রই দেখা গেল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে।