ইস্টবেঙ্গলের খারাপ সময় যেন কাটতেই চায় না। লালহলুদ সমর্থকরা বলছেন, আইলিগের মতো আইএসএলও নাকি অপয়া হয়ে গেছে। অবশ্য বলবে নাই বা কেন, অনেক কষ্টে নতুন কোচ আসার পর দলটাকে একটা জায়গায় আনার চেষ্টা করছে। আর তার মধ্যেই নাকি একের পর এক বিদেশি ফুটবলার চোট পেয়েই চলেছেন।
গত তিন ম্যাচে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল অপরাজিত। ৭ পয়েন্ট পেয়েছে ব্রুজোর দল। চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাস কুড়িয়েছিল লালহলুদ। কিন্তু সেই ম্যাচে সাউল ক্রেসপোর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটই বুঝিয়ে দিয়েছিল, পরের ম্যাচে চাপ থাকবে। একটা বিদেশির চোটে রক্ষা নেই, এরপর আরও দুই বিদেশিও ওড়িশা ম্যাচে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশের প্লেয়ার গ্রিসের ফুটবলার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস। ক্লেইটন সিলভার খারাপ দিনে, এই ফুটবলারই লালহলুদকে জয়ের সরণীতে ফিরিয়েছেন। প্রি সিজনে ফিটনেস ট্রেনিং যে কি হয়েছে, সেটা কার্লেস কুয়াদ্রাত যখন দল ছেড়েছিলেন তখনই বোঝা গেছিল। অধিকাংশ ফুটবলারের ৭০ মিনিটের পর কোমড়ে হাত পড়ে যাচ্ছিল। যাও বা ব্রুজো দলটাকে একটা জায়গায় আনলেন, এবার দিয়ামানতাকোসদের চোটে ফের চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। দিয়ামানতাকোসের থাই মাসেলে চোট রয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ম্যাচ রয়েছে শক্তিশালী ওড়িশা এফসির। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সার্জিও লোবেরার দল রয়েছে প্রথম ছয়ের মধ্যে। রয় কৃষ্ণা চোট পেয়ে ছিটকে গেলেও দ্রুত তাঁর বদলি খুঁজে ফেলেছে এই দল। এছাড়াও মরিসিও, হুগো বুমো, আহমেদ জাহু, মুর্তাদা ফলের মতো বিদেশিরা রয়েছে। যারা আক্রমণে যথেষ্ট পারদর্শী, তাঁদের আটকাতে সল্টলেক স্টেডিয়ামে দরকার পড়ত হেক্টর য়ুসতের, কিন্তু তাঁরও চোট।
অনুশীলনেও নামেননি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ফলে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে না ধরে নিয়েই তিন বিদেশিকে রেখে ভাবনা চিন্তা করতে হচ্ছে অস্কার ব্রুজোকে। এর মধ্যে সাউল ক্রেসপো তো কম করে সপ্তাহ তিনেকের জন্য মাঠের বাইরে গেছেন। এই অবস্থায় ব্রুজোর ভরসা হতে চলেছেন জেসিন, বিষ্ণুর মতো ভারতীয় ব্রিগেজডই। কারণ নন্দকুমার বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই গতবছরের চেনা ছন্দে নেই। মহেশও অযথা কার্ড দেখছেন, রাগারাগি করছেন। ফর্ম হারিয়েছেন। এরই মধ্যে তিন বিদেশির না থাকায়, ওড়িশা ম্যাচের আগে অশনি সংকেত দেখছেন অস্কার ব্রুজো।