লর্ডস টেস্টে একটা সময় ভারতীয় দলের জয়ের সম্ভাবনা যথেষ্টই ছিল। রবীন্দ্র জাদেজা শেষদিকে জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে অনেকটা সময়ই লড়াই চালিয়েছিলেন। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচ ভারতের পক্ষে জেতা মোটেই অসম্ভব কাজ নয়। আসলে শেষ পর্যন্ত যে মাত্র ২২ রানে হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। তাও মহম্মদ সিরাজ যেভাবে প্লে ডাউন হয়ে বোল্ড হন, তা চোখে না দেখলে অনেকেই হয়ত বিশ্বাস করতে পারতেন না।
১১২ রানের মধ্যে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও বুমরাহর সঙ্গে জাদেজা জুটিতে তোলেন ৩৫ রান, আর সিরাজের সঙ্গে তিনি জুটিতে তোলেন ২২ রান। তবে জাদেজার ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। তিনি ১৮১ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন। বারবারই তিনি টেলেন্ডারদের ঠেলে দিচ্ছিলেন ব্যাটিংয়ের জন্য। একটু আগ্রাসী হলে হয়ত ম্যাচটা তিনি জিতিয়েও মাঠ ছাড়তে পারতেন।
জাদেজার এই ব্যাটিং দেখে হতাশ পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলি। তিনি বলছেন, ‘যদি ফিল্ডাররা অনেকে বৃত্তের বাইরে থাকত, তাহলে হয়ত জাদেজার কিছুই করার থাকত না। জাভেদ মিয়াঁদাদ একটা কথা বলেছিল অনেকদিন আগে, যদি কোনও ব্যাটার টেলেন্ডারদের সঙ্গে ব্যাটিং করে, আর সেই সময় যদি ফিল্ডাররা বেশিরভাগ সার্কেলের ভিতর থাকে, তাহলে অ্যাটাক করতে হয় ব্যাটারদের। বুমরাহ আর সিরাজ ভালোই কাজ করেছে, প্রতি ওভারেই ২-৩ বল করে ডিফেন্স করেছে। তাই ওদের ওপর যদি জাদেজার আত্মবিশ্বাস থাকত, তাহলে ওকে বাউন্ডারি মারতে হত। এটা কি জাদেজার প্রথম টেস্ট ম্যাচ ছিল নাকি? যদি সেটা না হয়ে থাকে, তাহলে ওর থেকে আরও ভালো পারফরমেন্স আশা করা উচিত। প্রতি ওভারের শেষ ২ বলে বাউন্ডারির চেষ্টা করা উচিত ছিল ওর ’।
জাদেজা এই নিয়ে চারটি অর্ধশতরান করে ফেলেছে ইংল্যান্ডে গিয়ে। কিন্তু তবুও তাঁর লর্ডসের ইনিংস দেখে প্রাক্তন পাক তারকা কামরান আকমলও বলছেন, ‘জাদেজার আরও একটু ঝুঁকি নেওয়া উচিত ছিল। যখন শোয়েব বাশির, জো রুটরা বোলিং করছিল, তখন জাদেজা ওদের ছেড়ে দিল। যদি কয়েকটা ছয় তখন মারে পারত, তাহলে ভালো হত। স্লগ সুইপও করেনি। একটু সাহস দেখাতে পারত, তাহলে ভারত জিতে যেত। অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বেন স্টোকস যা করেছিল, আমি ভেবেছিলাম জাদেজাও তাই হয়ত করে দেখাবে ’।