গুজরাট জায়ান্টের টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউই টপকাতে পারলেন না ১০ রানের গণ্ডি। যা হওয়ার তাই হল। বেঙ্গালুরুতে ওমেনস লিগের (WPL) ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে বড় ব্যবধানে হারল গুজরাট জায়ান্ট দল। নূন্যতম লড়াইটুকুও দিতে পারল না বেথ মুনি, অ্যাশ গার্ডেনাররা। দিল্লির পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি হল।
এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই WPLএ পয়েন্ট তালিকায় আপাতত সবার ওপরে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির। আরসিবিকে টপকে এখন তাঁরা ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, যদিও তাঁরা আরসিবির থেকে ১ ম্যাচ বেশি খেলেছে। দিল্লির পয়েন্ট ৫ ম্যাচে ছয়। রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি গত দুবারের WPLর ফাইনালিস্ট, তবে একবারও ট্রফির শিকে ছেঁড়েনি তাঁদের।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির পেসার মারিজানে কাপ, শিখা পাণ্ডেদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে পর্যুদস্ত অবস্থা হয় গুজরাট দলের। বেথ মুনি করেন ১০ রান। হর্লিন দিওল করেন ১০ বলে ৫ রান। লিচফিল্ড করেন ০, গার্ডেনার করেন মাত্র ৩ রান। বেথ মুনি এবং কাভশি গৌতমকে গুজরাটের ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে ফিরিয়ে ধাক্কা দেন শিখা পাণ্ডে। তাতেই কার্যত ধরাশায়ী অবস্থা হয়ে যায় গুজরাটের। একটা সময় ২০ রানে চার উইকেট হারায় তাঁরা।
এরপর দিয়ান্দ্রা দটিন এবং তনুজা কানোয়ার কিছুটা হাল ধরেন দলের। ক্যারিবিয়ান দটিন করেন ২৪ বলে ২৬ রান। তনুজা করেন ২৪ বলে ১৬ রান। শেষদিকে ভারতী ফুলমালি ২৯ বলে ৪০ রান করে দলের স্কোর ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে নিয়ে যান। যদিও সেই রান তুলতে খুব বেশি ঘাম ঝড়াতে হয়নি দিল্লির শাফালি বর্মা, জেস জোনাসেনদের।
১৫.১ ওভারের মধ্যেই দিল্লি ক্যাপিটালস দল রান তুলে নেয়। অধিনায়ক মেগ ল্যানিং মাত্র ৩ রানে আউট হলেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে দিল্লি। শাফালি বর্মা করেন ২৭ বলে ৪৪ রান। মারেন পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয়। ৩২ বলে ৬১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন গত ম্যাচে বল হাতে নজরকাড়া জেস জোনাসেন। শেষদিকে জেমিমা, সাদারল্যান্ডরা তেমন রান না পেলেও মারিজানে কাপ এবং জোনাসেন দাঁড়িয়ে থেকেই ম্যাচ জেতান ৬ উইকেটে, তাও ২৯ বল বাকি থাকতেই।
ম্যাচ জয়ের মূহূর্ত-
WPLর এই ম্যাচে হারের পর পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচেই রইল গুজরাট জায়ান্ট দল। ৪ ম্যাচ থেকে তাঁদের পয়েন্ট এখন মাত্র ২। ফলে যা পরিস্থিতি, তাতে বাকি ম্যাচগুলো বেথ মুনিদের কাছে মাস্ট উইন হয়ে দাঁড়াল। জিততে না পারলেও এবারও আর ফাইনালে ওঠার সাধ পূরণ হবে না তাঁদের।