মান-অভিমানপর্ব ইতি। দুবছর পর অবশেষে বাংলায় ফিরছেন ঘরের ছেলে সুদীপ চট্টোপাধ্য়ায়। কয়েক বছর আগে তিনি চলে গেছিলেন ত্রিপুরার হয়ে খেলতে। ঋদ্ধিমান সাহা সেরাজ্যে যাওয়ার পর তাঁর পথ অনুসরণ করেছিলেন সুদীপও। অবশেষে বাংলার হয়ে ফের খেলতে দেখা যাবে তাঁকে।
সুদীপ চ্যাটার্জির সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহা
কয়েক বছর আগে কথা। বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় খেলতে চলে গেছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। একটা সময় টানা বাংলার হয়ে রঞ্জিতে ভালো পারফরমেন্স করেছিলেন সুদীপ। জাতীয় পর্যায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টেই প্রথম একাদশের অপরিহার্য অঙ্গ ছিলেন বারাসতের এই ছেলে। কিন্তু দল থেকে বাদ পড়তেই, হতাশ হয়ে তিনি বাংলা ছেড়েছিলেন। চলে গেছিলেন পাশের রাজ্য ত্রিপুরায়। সেখানে তাঁর আগেই পা বাড়িয়েছিলেন বাংলা দলে সিনিয়র ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর পথ অনুসরণ করেই সেখানে গেছিলেন সুদীপ। তবে ২ বছর কাটতে না কাটতেই, অবশেষে মান অভিমান পর্ব কাটিয়ে বাংলাতেই ফিরছেন দলের এক সময়ের সহ অধিনায়ক। বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই দলকে নির্ভরতা দিতেন সুদীপ। মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদারের দলের টপ অর্ডারের অন্যতম ভরসা ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ফের তিনি বাংলায় ফেরায় কিছুটা হলেও দল যে শক্তিশালী হল তা বলাই বাহুল্য।
গত রঞ্জি ট্রফি মরশুম খুব একটা ভালো কাটেনি বাংলা দলের। আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় তাঁদের অনেক ম্যাচে পায়নি বাংলা, সেটা অন্যতম কারণ ছিল অবশ্য। সেই সঙ্গে ব্যাটিং ব্যর্থতাও ছিল আরেক প্রধান কারণ। সব ম্যাচে যে অনুষ্টুপ মজুমদার বা শাহবাজ আহমেদের পক্ষে দলকে বাঁচানো সম্ভব নয়, সেটা ভালোই টের পেয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লরা। শেষ পর্যন্ত বাংলা দলে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ফেরায়, টপ অর্ডারে ভালো একজন ব্যাটার পেল বাংলা শিবির, পরিস্থিতি অনুযায়ী যে মাথা ঠান্ডা রেখেই রান করতে পারে। দল ছাড়ার আগে বাংলার হয়ে অন্যতম সফল ব্যাটার ছিলেন বারাসতের ছেলে সুদীপই।
বাংলার হয়ে প্রত্যাবর্তনের পর সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘খুব ভালো লাগছে আবার বাংলা দলের হয়ে ফিরতে পেরে। আমি ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার কাছে এনওসি চেয়েছি। এছাড়াও এরাজ্যে ট্রান্সফারের আবেদন জানিয়েছি’। জুনের ১১ তারিখ থেকে শুরু বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ, সেখানেই প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটার। মেদিনীপুর ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রো টি২০ লিগের প্রথম সংস্করণে খেলতে দেখা যাবে সুদীপকে। সেখানে বাংলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ, ইশান পোড়েলদের সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে।
বাংলায় ফিরলেও এখনই সিএবি নিয়ে বেশ কিছু বলতে চাননি সুদীপ। বরং আপাতত প্রো টি২০ লিগেই ফোকাস করছেন তিনি। বাংলার হয়ে ২০১২ সালে অভিষেক হয় তাঁর, এরপর ইন্ডিয়া ‘এ’ দলের হয়েও খেলেছিলেন। তবে পারফরমেন্সে অবনতি হওয়ার জেরে তাঁকে বহুক্ষেত্রেই দলের বাইরে বসতে হয়েছিল। এবার কামব্যাকের বছরে সুদীপ নিশ্চয় চাইবেন গত বছরের বাংলা দলের ব্যর্থতা এবার সুদে আসলে পুষিয়ে দিতে।