অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ বব সিম্পসন প্রয়াত, ৮৯ বছর বয়স হয়েছিল

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক এবং কোচ বব সিম্পসন ৮৯ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia)-র তরফে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বব সিম্পসন ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে ৬২টি টেস্ট ম্যাচে তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, যেখানে তিনি ৪৬.৮১ গড়ে ৪৮৬৯ রান করেছিলেন এবং ৭১টি উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি ৩৯টি টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে ১২টিতে তিনি জয়লাভ করেন। একজন খেলোয়াড় হিসেবে, বব সিম্পসন তাঁর প্রথম শতরান করতে ৩০তম টেস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি এটিকে ৩১১-এ রূপান্তরিত করেন এবং ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রায় ১৩ ঘণ্টা ব্যাটিং করেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের এই খেলোয়াড় ৪১ বছর বয়সে অবসর থেকে ফিরে এসে World Series Cricket-এর যুগে দুর্বল অস্ট্রেলিয়ান দলের নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে, বব সিম্পসন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের প্রথম ফুল টাইম কোচ হন, যিনি চার বছর ধরে একটিও টেস্ট সিরিজ জিততে না পারা একটি দুর্বল দলকে খেলার অন্যতম শক্তিশালী দলে পরিণত করতে সাহায্য করেছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে, অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ, চারটি অ্যাশেজ সিরিজ (Ashes Series) এবং ১৯৯৫ সালে ফ্র্যাঙ্ক ওয়োরেল ট্রফি (Frank Worrell Trophy) জিতেছিল, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের খরা (drought) শেষ করেছিল। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ-এর পর তিনি অস্ট্রেলিয়ান কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং জাতীয় নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেন। Simpson ১৯৮৫ সালে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অফ ফেম (Sport Australia Hall of Fame) এবং ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেমে (Australian Cricket Hall of Fame) অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৩ সালে তাঁকে আইসিসি ক্রিকেট হল অফ ফেমে (ICC Cricket Hall of Fame) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। Bob Simpson বিশেষ সম্মান: ১৯৬৫: উইজডেন ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার (Wisden Cricketer of the Year) মনোনীত, ১৯৭৮: অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়ার (Order of Australia) (এএম) সদস্য হন, ১৯৮৫: স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত, ২০০০: অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস মেডেল (Australian Sports Medal) পান, ২০০১: খেলাধুলায় (ক্রিকেট) অবদানের জন্য শতাব্দী পদক (Centenary Medal) পান, ২০০৬: অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত, ২০০৭: অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়ার (AO) অফিসার হন, ২০১৩: আইসিসি ক্রিকেট হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত।