ক্রিকেট জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার একজন কিংবদন্তি প্লেয়ার পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন। এই কিংবদন্তির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বেশ সংক্ষিপ্ত ছিল, কিন্তু তাঁর কৃতিত্ব ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২৩ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই খেলোয়াড় মাত্র ২৭ বছর বয়সেই অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ভক্তদের এই কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: IPL 2025 আপাতত বন্ধ করতে বাধ্য হল BBCI, এর আগেও একবার স্থগিত করতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট, কবে জানেন?
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার প্রয়াত
বাঁ-হাতি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান বব কাউপার এই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে মেলবোর্নে বব কাউপার প্রয়াত হন। তিনি তাঁর স্ত্রী ডেল এবং কন্যা অলিভিয়া এবং সারা রেখে গেছেন। ৮৪ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বব কাউপার ঘরের মাঠে একজন শক্তিশালী ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং তাঁর ব্যাটিং গড় ৭৫.৭৮ অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের পরেই।
বব কাউপারের মৃত্যু সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া লিখেছে, ‘আজ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বব কাউপারের মৃত্যুতে শোকাহত। বব ছিলেন একজন উজ্জ্বল বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান, যিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন, যার মধ্যে ১৯৬৬ সালে এমসিজিতে অ্যাশেজের একটি অসাধারণ ট্রিপল সেঞ্চুরিও ছিল। ববের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের প্রতি আমাদের সমবেদনা।’
আরও পড়ুন: মুখে একেবারে ঝামা ঘষে দিয়েছে UAE, PSL 2025 স্থগিত করতে বাধ্য হল PCB
সেই বিশেষ রেকর্ড, যা কখনও ভাঙা যাবে না
বব কাউপার ১৯৬৪ সালের জুলাই থেকে ১৯৬৮ সালের জুলাই পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন, ৪৬.৮৪ গড়ে ২,০৬১ রান করেছিলেন। বোলার হিসেবেও তিনি ৩৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯৬৫-৬৬ সালের এমসিজি অ্যাশেজ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাউপার একটি ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছিলেন যা সব সময়ে ক্রিকেট প্রেমীদের মনে থেকে যাবে। এই ম্যাচে তিনি ১২ ঘন্টা ব্যাটিং করেছিলেন এবং ৫৮৯ বলে ৩০৭ রান করেছিলেন। এর মাধ্যমে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ত্রিপল সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন। একই সময়ে, তিনি ১৯৬৮ সালে অ্যাশেজ সফরের সময় লিডসে তাঁর শেষ টেস্ট খেলেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেন এবং তাঁর পুরো মনোযোগ ব্যবসায়িক দিকে নিবদ্ধ করেন। কিন্তু সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও তিনি কিংবদন্তির তকমা পেয়ে যান। খেলা চালিয়ে গেলে হয়তো এমন অনেক রেকর্ড তৈরি হত, যা অমলিন হয়ে থাকত বর্তমানেও।