হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধরমশালায় পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচটি বাতিল করে দেওয়া হয়। ম্যাচ চলার সময়েই লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের। সাময়িক ভাবে তৈরি হয়েছিল চরম নিরাপত্তাহীনতা।
আসলে ধরমশালায় ম্যাচ চলাকালীন জম্মুতে পাকিস্তান আক্রমণ করে। এর পরেই মাঠের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দর্শকদের মাঠ ছাড়তে বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে জম্মুতে। আখনুর, সাম্বার মতো জায়গায় সাইরেন বাজছিল। পাকিস্তানের দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে একাধিক রকেট উড়ে আসতে দেখা গিয়েছে। সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়েছিল এলাকা।
কী বলেছেন হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর?
যাইহোক এই ঘটনার আভাস আগে থেকেই ছিল বলে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর সঞ্জয় শর্মা। তিনি শুক্রবার বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কথা বিবেচনা করে নিরাপত্তার কারণে গত কাল (বৃহস্পতিবার) দিল্লি-পঞ্জাব আইপিএল ম্যাচটি বন্ধ করতে হয়েছিল। তার আগেও, তীব্র অনুভূতি ছিল যে, এরকম কিছু ঘটতে পারে। এই কারণেই, এইচপিসিএ এবং পঞ্জাব কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি অপারেশন কর্মীরা আগে থেকেই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে মনে করেই, পুলিশ প্রশাসন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল... যখন ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছিল, তখন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এটি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হয়েছিল এবং কোনও দর্শক কোনও সমস্যা বা আঘাতের সম্মুখীন হননি... উভয় দলই সড়ক পথে ফিরেছিল। কারণ কোনও ফ্লাইট ছিল না, তাই তাঁরা সড়কপথে গিয়েছিল... পরবর্তী আইপিএল ম্যাচ, যা এখানে মুম্বই এবং পঞ্জাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেটি নিয়ে আগে থেকেই সংশয় ছিল, কারণ এখানকার সমস্ত বিমানবন্দর বন্ধ করা দেওয়া হয়েছিল। অতএব, মুম্বই দলের এখানে আসা সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল না...’।
ভালো জায়গায় ছিল পঞ্জাব
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করছিল পঞ্জাব কিংস। ১০.১ ওভার খেলা হয়েছিল। তার পরেই মাঠে আলো নিভতে শুরু করে। প্রিয়াংশ আর্য ৩৪ বলে ৭০ রান করে আউট হয়ে যান। অন্য ওপেনার প্রভসিমরন সিং ২৮ বলে ৫০ রান করেন। ১২২ রান তুলে ভালো জায়গায় ছিল পঞ্জাব। এই ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফে উঠে যেত তারা। কিন্তু ম্যাচটিই বাতিল করে দেওয়া হয়।
আইপিএল-ই বাতিল
পিটিআই-কে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল পিবিকেএস-ডিসি খেলা বাতিল হওয়ার পরেই বলেছিলেন, ‘আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। এটি একটি ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি। আমরা এখনও সরকারের কাছ থেকে কোনও নির্দেশনা পাইনি। স্পষ্টতই সমস্তটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তখন থেকেই আইপিএল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এর মাঝেই নিরাপত্তা নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হওয়ার পর, বিদেশি খেলোয়াড়রাও যে যাঁর দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েই ফেলেছে।