ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং লাইন আপে যেমন অনেকটাই বদল করতে হচ্ছে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার অবসরের পরে, তেমনই বোলিংয়েও অনেকগুলো পরিবর্তনের দিকেই নজর রাখতে হবে কোচ গৌতম গম্ভীরকে। প্রথমত অশ্বিনের জায়গায় এমন কাউকে সেট করতে পারবে, যে মিডল অর্ডারে উইকেট নিতে পারেন নিয়মিত। দ্বিতীয় জসপ্রীত বুমরাহকে কোন কোন টেস্টে খেলানো হবে, সেটাও নির্ধারণ করতে হবে গম্ভীরকেই। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় সিরাজদের খারাপ পারফরমেন্সের পর বুমরাহর যোগ্য সঙ্গী পেসার কে হবেন ইংল্যান্ডে, সেটাও অজিত আগরকরদের বেছে দেওয়া স্কোয়াড নিয়ে গম্ভীরকেই ঠিক করতে হবে।
বুমরাহর পিঠের চোট আজকের নতুন নয়। সবেমাত্র তিনি চোট কাটিয়ে উঠেছেন, তাই তাঁকে তিন ম্যাচের বেশি খেলানো হবে না। যদিও বুমরাহর চোট ছাড়াও ভারতীয় বোলিং নিয়ে আরও সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করছেন প্রাক্তন বোলিং কোচ ভরত অরূণ, এছাড়াও বুমরাহর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট করা নিয়েই বড় বার্তা দিলেন তিনি।
রেভ স্পোর্টজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভরত অরূণ বলছেন, ‘বেশি বেশি বোলিং করা আবার কম কম বোলিং করা, দুটোর কারণেই কিন্তু চোটাঘাত লাগতে পারে। বোলারদের চোট পাওয়ার জন্য কিছু বিশেষ বিশেষ ঘটনার প্রয়োজন। এবার ম্যাচে তো আমরা কেউই আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা যে বুমরাহ কত ওভার বোলিং করবে। কিন্তু মোটামুটি একটা ওভার সংখ্যা ধরে নিয়ে প্র্যাকটিসের সময়ও সেই মতোই অনুশীলন করানো হতে পারে। যাতে ওয়ার্কলোডের সঙ্গে তিনি সড়গড় হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুত রিকভারি সম্ভব, জিম সেশনের হোক বা ফিজিওর কাছেও আলাদা অনুশীলন করানো হতে পারে। বুমরাহর দলে থাকা কিন্তু শুধু দলের শক্তি বাড়ায় না, ও থাকলে ও বাকি বোলারদের থেকেও সেরাটা বের করে আনে এটাই সুবিধা ’।
অরূণ আরও বলছেন, ‘জসপ্রীত বুমরাহর ওপর যে ভরসা দল করে,সেটা খুবই ভালো। তাই আমি তো চাইব ও সব ম্যাচই খেলুক। যদি অন্যদিক থেকে বোলাররা ভালো সাপোর্ট দিতে পারে, তাহলে বুমরাহকে তৈরি রাখা সম্ভব পাঁচ টেস্টের জন্যই। কোনও টেস্টে ওকে অতিরিক্ত বোলিং করতে হবে না তাহলে। কিন্তু ওকে বেশি বোলিং করতে হলে ওর ওয়ার্কলোডে সমস্যা হবেই, তাই সেটার দায়িত্ব বাকি বোলারদেরই নিতে হবে ’।