বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে, রেস্টুরেন্ট এবং সুপারমার্কেটে কাজ করে থাকেন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা। মূলত বাড়তি খরচ মেটাতেই পার্ট টাইম কর্মী হিসাবে এমনটা করেন তাঁরা। যদিও আমেরিকান নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়াদের শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের মধ্যেই কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে, অনেক শিক্ষার্থীকেই তাঁদের খরচ মেটানোর জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে পার্ট টাইম চাকরি করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে এই ধরনের চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনেক শিক্ষার্থীই এখন বেবি সিটার হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: (IBPS Prelims Result 2024: প্রকাশিত হল আইবিপিএস পিও ২০২৪ প্রিলির ফলাফল, কীভাবে দেখবেন? লিঙ্ক রইল এখানে)
ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এই কাজ করছেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্র এবং ভারতের অন্যান্য শহর থেকে পড়ুয়ারা বিদেশে পড়তে যান। জানা গিয়েছে, এখন নিজেদের খরচ মেটাতে ওই পড়ুয়ারা, সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাহায্য নিচ্ছেন এবং তাঁদের বাড়িতে বেবিসিটার হিসেবে কাজ করছেন। আর এই কাজটি যারা করছেন তাঁদের বেশিরভাগই মেয়ে। এই কাজের জন্য প্রতি ঘণ্টায় আয় ১৩ থেকে ১৮ ডলার অর্থাৎ প্রায় ১,০৯৭ থেকে ১,৫১৯ টাকা। এর পাশাপাশি, এই পরিবারগুলির সঙ্গে তাঁরা সেখানে থাকা-খাওয়ার সুবিধাও পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: (Job in Zomato: জোমাটোতে বিনা বেতনে চাকরি, আবেদন পড়ল ১৮,০০০, কুড়ি লাখ চাওয়া নিয়ে নয়া সাফাই সিইওর)
এ প্রসঙ্গে পড়ুয়াদের কী দাবি
ওপেন ডোরস ২০২৪ রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে টেক্সাসে প্রায় ৩৯,০০০ ভারতীয় ছাত্র, ইলিনয়ে ২০,০০০, ওহাইওতে ১৩,৫০০ এবং কানেকটিকাটে ৭,০০০ ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন৷ এই ছাত্রদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ তেলেগু পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক পড়ুয়া এটাই বলেছেন যে তাঁরা খরচ মেটাতে বেবিসিটারের কাজ করছেন।