পাহাড়ে নতুন করে কাছাকাছি এসেছেন দুই পুরানো সঙ্গী বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং। এনিয়ে পাহাড়়ের রাজনীতিতে নতুন করে হাওয়া ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ে আরও কোণঠাসা হচ্ছে বিজেপি। এদিকে এসবের মধ্যেই মুখ খুললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সল্টলেকে চা চক্রে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের আর কোনও জনাধার নেই। সাম্প্রতিকালের নির্বাচনে বিজেপি ওখানে তিনটির মধ্যে ২টি জিতেছে। সাংসদও বিজেপির। উনি আলাদা রাজ্যের যে দাবি করছেন সেই প্রসঙ্গে বলা যায় তিনি তৃণমূলের জোটসঙ্গী আছেন। তার দাবি সম্পর্কে তৃণমূল বলতে পারবেন। তবে আমরা বলছি পাহাড়ে রাজনৈতিক সমাধান দরকার। কিন্তু তার মানে আলাদা রাজ্য নয়।’ সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, ‘বিজেপি ওখানকার নির্বাচিত বিধায়ক ও সাংসদকে নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে। এই বিশ্বাস আছে আমাদের। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই কোনও ব্যবস্থা থাকুক। ষষ্ঠ তফশীল হবে নাকি তাদের স্থানীয় ক্ষমতা বাড়ানো হবে। আসলে জিটিএ চুক্তি রাজ্য সরকার কার্যকর করেনি। সামগ্রিকভাবে তৃণমূল ব্যর্থ। বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে আর অস্তিত্ব নেই। আমরা একে গুরুত্ব দিচ্ছি না।’ কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের মতে প্রতিবার নির্বাচন এলেই পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্বও পাহাড়ে গিয়ে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে নানা আশ্বাস দেন মাঝেমধ্যে।কিন্তু সমতলে নামার পরেই দেখা যায় তাঁদের অনেকের গলাতেই অন্য সুর।