আইপিএল ২০২৫র প্রায় সব ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে ব্যাটারদের ব্যাট চেক করে নিচ্ছেন আম্পায়াররা। আসলে আইপিএল শেষ কয়েক বছরে এমনিতেই বোলারদের কাছে বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসার পর তো এমনিতেই ব্যাটাররা হাত খুলে পেটাচ্ছেন, এই আবহে যাতে ব্যাটাররা কারচুপি করতে না পারেন ব্যাট হাতে, সেই জন্যই ব্যাট চেক করার এই নিয়ম লাগু করা হয়।
Super Cup চ্যাম্পিয়ন হয়ে কত টাকা Prize Money পাবে FC Goa? ISL-র থেকে কতটা কম? দেখে নিন
দুরন্ত বোলিং এনগিডির
এদিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ম্যাচ হচ্ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে। সেখানে মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলতে নামেন ১৭তম ওভারে। ডেওয়াল্ড ব্রেভিস আউট হন প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডির বোলিংয়ে। নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিয়ে আরিসিবিকে খেলায় ফেরান প্রোটিয়া পেসার।
ব্যাট পরীক্ষায় ফেল ধোনি
মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মাঠে নামতেই শুরু হয় নাটক। ধোনির ব্যাট চেক করেন আম্পায়াররা, আর তাতেই ফেল করে যান মাহি। অর্থাৎ তাঁর ব্যাটের যে নির্দিষ্ট মাপকাঠি রয়েছে, সেই মাপের থেকে বেশি বলে দেখা যায়। এরপরই তাঁর ব্যাট বদলের জন্য় অনুরোধ করেন আম্পায়াররা। এরপর মাহি নিজেই নিজের ব্যাট বদল করে নেন।
মোটা ব্যাটে খেলেন অনেকে
সাম্প্রতিক সময় দেখা গেছে ওপেনার হোক বা ফিনিশার, অনেকেই মোটা ব্লেড বা চওড়া ব্লেডের ব্যাট ব্যবহার করছে। যাতে ওভারের শেষদিকে পিঞ্চ হিট করা যায়। ব্য়াটের ব্লেড যত চওড়া থাকবে, তত হিট করতে সুবিধা হয় ব্যাটারদের। কিন্তু সেটা যাতে মাত্রাতিরিক্ত না হয়, সেই জন্যই আইপিএলে এই নিয়ে লাগু করা হয়।
রবিবারের IPL-র ম্যাচে এখনও অনিশ্চিত রাহানে! PBKS ম্যাচে হারটাই ক্ষতি করল! মেনে নিলেন KKR-র তারকা
ব্যাট হাতে ব্যর্থ ধোনি
এরপর নতুন ব্যাট হাতে মহেন্দ্র সিং ধোনি ৮ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান। নিজের ইনিংসে একটি ছয় মারেন ধোনি, তবে শেষ ওভারে এবারেও তিনি আউট হয়ে যান। আগেরবার আইপিএলেও মাস্ট উইন ম্যাচে ধোনি যশ দয়ালের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে আউট হয়ে গেছিলেন, এরপর আইপিএলের প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছিল সিএসকে।
হারের দায় নিলেন মাহি
এবারও মহেন্দ্র সিং ধোনি আউট হতেই চেন্নাই সুপার কিংস আরসিবির বিপক্ষে ম্যাচ হেরে গেল। শেষ ওভারে একটা সময় মাত্র ২ বলে ৫ রান বাকি ছিল চেন্নাইয়ের, কিন্তু সেখান থেকেও দলকে জেতাতে পারলেন না জাদেজা, শিবম দুবেরা। এদিকে ম্যাচে হারের পর মাহি নিজেই স্বীকার করে নেন, যে তাঁর আরও কয়েকটা শট খেলা উচিত ছিল। অর্থাৎ হারের দায় নিজের কাঁধেই নেন ক্যাপ্টেন কুল।