মে মাসের প্রথম সপ্তাহ। তবে মাঝেমধ্য়েই বৃষ্টি হচ্ছে বাংলায়। বৃষ্টি মানেই পিচের রাস্তা খারাপ হওয়ার দিন। শনিবার রাতেও কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে কয়েক মাস বাদেই আসবে ভরা বর্ষা। তবে তার আগে কলকাতার পুলিশের তরফে একাধিক অনুরোধ করা হয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন ও পূর্ত দফতরের কাছে। মূলত সামনের বর্ষাকাল আসার আগেই যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয় সেকারণে এই অনুরোধ।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মূলত দুটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। প্রথমত ইলেকট্রিক পোলের খোলা তার থেকে, জয়েন্ট বক্স থেকে যাতে কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ না হন। অন্য়দিকে বর্ষার আগে রাস্তার গর্তগুলো যাতে মেরামতি করা হয়। বর্ষাকালে এই দুটি থেকে বড় বিপদ হয়ে যায় শহরে। সেকারণেই এই অনুরোধ করা হচ্ছে।
শনিবার পথ নিরাপত্তা নিয়ে মিটিং ছিল। সেখানেই পুলিশের তরফে এই প্রস্তাব রাখা হয়। অতীতে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে বর্ষাকালে জমা জলের মধ্য়ে দিয়ে যাওয়ার সময় লাইট পোস্টে খোলা তারে হাত লেগে মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে। সেকারণেই এই ধরনের তার যাতে বেরিয়ে না থাকে সেকারণে বিশেষ প্রস্তাব দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের তরফে।
কলকাতা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে কোথাও জল জমলে যখন আলো বন্ধ করা হয় তখন যেন কলকাতা পুলিশকেও এব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। স্থানীয়স্তরে পুলিশ ও অন্যান্য এজেন্সির মধ্য়ে হোয়াটস অ্য়াপ গ্রুপ তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
যে যে রাস্তাগুলি অবিলম্বে মেরামত করা প্রয়োজন সেগুলিকে চিহ্নিত করার ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক গার্ডকে। কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা ২৬টি ট্রাফিক গার্ডকে এনিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন তাদের এলাকায় কোন কোন রাস্তাগুলি মেরামত করা প্রয়োজন তার একটা তালিকা তৈরি করে রাখেন।
মোটামুটি যে রাস্তাগুলি এখনই মেরামত করা প্রয়োজন তার তালিকা তৈরির জন্য় বলা হয়েছে। সেই তালিকা এরপর সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তুলে ধরা হবে। মানিকতলা মার্কেটের কাছে এপিসি রোড ও এমজি রোড এই দুটি রাস্তার যেখানে ট্রাম লাইন রয়েছে সেখানে সবথেকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই রাস্তাগুলি মেরামতির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
উল্টোডাঙা, বন্দর এলাকা, বেহালার রাস্তার একাংশে রাস্তা মেরামতি করা প্রয়োজন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।