দিলীপ ঘোষ গিয়েছিলেন জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। আর তারপরটা পুরো হট্টগোল। সবটাই বিজেপির অন্দরে। দলের অনেকেই এবার দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তবে দিলীপ ঘোষ প্রায় প্রতিটারই জবাব দিচ্ছেন। এমনকী অন্য দল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছেন তারাই এসব করছেন বলে দাবি করেছেন দিলীপ। কিন্তু এই যে দিলীপকে বার বার আক্রমণ একে কেমনভাবে দেখছে রাজ্য বিজেপি?
শনিবার রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, যে যার মনের মতো লিখতে পারেন না। যে যার মনের মতো যখন লিখছেন তখন দলের যেটা করার দল করবে।
সেই সঙ্গেই দিলীপের এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গে শমীক জানিয়েছেন, যেটা হয়েছে সেটা অনভিপ্রেত। আমাদের মতো দলে এটা কাঙ্খিত নয়। যা হয়েছে পুরো এপিসোডটাই অনাকাঙ্খিত। যেতে পারি কিন্তু কেন যাব এটা নিয়ে বিজেপি চিন্তিত নয়। সমাজমাধ্যমে অধিকাংশ পোস্ট যারা করছেন তাদের অধিকাংশ বিজেপির সক্রিয় কেউ নন। তার পরেও স্বীকার করে নিচ্ছি যা হয়েছে সেটা কাঙ্খিত নয়। পার্টিতে যাঁদের এটা দেখার কথা তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। যা করার তাঁরা করবেন। বলেন শমীক ভট্টাচার্য।
দিলীপের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দিলীপ ঘোষ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বিধায়ক ছিলেন, সাংসদ ছিলেন। পরিসংখ্যানের হিসাবে তিনি রাজ্য বিজেপির সফলতম সভাপতি। দিলীপ ঘোষ কী করবেন, কী বলবেন তা দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তাঁর বিষয়ে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাঁদের চিন্তাভাবনা করার তাঁরাই করবেন। আমার এর থেকে বেশি বলার এক্তিয়ার নেই। তবে পুরো বিষয়ের উপর দল নজর রাখছে।
সেই সঙ্গেই শমীক বলেন, যাঁরা কয়েকটা ফেসবুক পোস্ট দেখে আর জয় জগন্নাথ দেখে উদ্বাহু নৃত্য করছেন এই ভেবে যে বিজেপি অন্তর্কলহে দীর্ণ তাঁরা ভুল করছেন। কিন্তু যেটা হচ্ছে সেটা নিন্দনীয়। প্রত্যেকের সতর্ক থাকা উচিত, তিনি যত বড় নেতাই হোন। জানিয়েছেন শমীক।
কার্যত দুটি তিনটি বিষয়কে জোর দিতে চেয়েছেন শমীক। প্রথমত দলের অন্দরে দিলীপের সাফল্য স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ যে কাজ করেছেন তা অনভিপ্রেত। তারপরে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে যেসব হচ্ছে তাকেও ভালো চোখে দেখছে না দল।