বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Humayun Kabir on Minority Comment: '৫ বাচ্চা-রিক্সাওয়ালার থেকে ২ বাচ্চা-শিক্ষক, ডাক্তার ভালো' হুমায়ুনের তির ববিকে
পরবর্তী খবর
সংখ্যালঘু মন্তব্যকে ঘিরে মহা চাপে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক সোস্য়াল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন।সেখানে ফিরহাদের কথা উল্লেখ না করা হলেও তাঁর নিশানায় যে ফিরহাদ হাকিম সেটা অনেকটাই স্পষ্ট।
হুমায়ুন কবীর তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘জিন্দেগি লম্বি নেহি বরি হোনি চাহিয়ে হুজুর হাকিমজী।’ তিনি লিখেছেন, ‘কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি চাই। ৫ বাচ্চা-রিক্সাওয়ালা, সবজিওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, পরিযায়ী শ্রমিক, হকার না হয়ে দু বাচ্চা শিক্ষক, ডাক্তার নিদেনপক্ষে আমার মতো পুলিশ হওয়া ভালো নয় কি?’ প্রশ্ন রেখেছেন হুমায়ুন কবীর।
তিনি প্রাক্তন আইপিএস। কড়া পুলিশ অফিসার বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি একেবারে তৃণমূলস্তরের মানুষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন।
তিনি সংবাদমাধ্য়মে বলেন, মুসলমানদের আর্থ সামাজিক অবস্থা বেশ খারাপ। বাংলার কথাই বলছি। একটা সিঙ্গেল ইউনিটের মধ্যে যে রিসোর্স আছে, তাতে দুটো বাচ্চাকে প্রতিপালন করা যায়। তাহলে ৫টা বাচ্চার কথা ভাবব কেন? বাংলার মুসলিম সমাজ তাদের যে আর্থ সামাজিক অবস্থা তাদের বাচ্চার সংখ্য়া যদি বেড়ে যায় তাহলে তো আরও সমস্যা হবে। সংখ্য়ায় নয়। হিন্দুদের তুলনায় মুসলিমদের গ্রোথ বেশি। আমি যখন কোনও বাড়িতে রেইড করে বেরিয়ে আসি দেখি ৫ জোড়া চোখ, এগুলো আমাকে হন্ট করে। সেই সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন, আমি রিক্সাওয়ালা, সবজিওয়ালার কথা বলে তাঁদেরকে কোনও কিছু বলতে চাইনি। আমি বলতে চাইছি শিক্ষা, স্বাস্থ্যের দিক থেকে উন্নতি হোক।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী সমর্থন করেছেন হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যকে। তিনি বলেন হুমায়ুন কবীর যে কথা বলেছেন তা একেবারে সঠিক। কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি চাই। অধীর চৌধুরী বলেন, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পার্টি থেকে বের করে দেওয়া হোক।
তবে ফিরহাদের বক্তব্যকে একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল। সর্বভারতীয় তৃণমূল জানিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন তা থেকে দূরত্ব তৈরি করছে দল। নিন্দাও করছে।
কী বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম?
‘আমরা এমন একটা সম্প্রদায়ের লোক, যে সম্প্রদায়....বাংলায় তো আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু ভারতে মাত্র ১৭ শতাংশ। আর আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলা হয়। কিন্তু আমরা নিজেদের সংঘ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা ভাবি যে আমাদের উপরে যদি আল্লাহের রহমত থাকে, তালিম যদি আমাদের পক্ষে থাকে, তাহলে একদিন আমরা মেজরিটির থেকেও মেজরিটি হয়ে যেতে পারি। আমরা যদি নিজেদের শক্তি দিয়ে এটা অর্জন করতে পারি, তাহলে সেটা আল্লাহের কৃপা হবে।’