
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশের দিন শুরু থেকেই গোলমাল পাকানোর অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে। অধিবেশন কক্ষে গোলমাল করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনায় যায়, এটা বিজেপির পার্টি অফিস নয়। এটা বিধানসভা। এরপর বাজেট পেশ শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। কিন্তু সেই সাংবাদিক সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার ঠেকাতে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রেস কর্নার থেকে ফেসবুক লাইভের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে এবার লালবাজারে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন এই অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলে সমালোচনা করছেন অনেকেই। একজন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় এমন ষড়যন্ত্র কার্যত অপরাধ। তাহলে কি বিরোধী দল নেপথ্যে রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট পেশ করার পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভার্চুয়ালি। বিধানসভার প্রেস কর্নারে সরাসরি সম্প্রচার করার প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করার আগেই প্রেস কর্নারে বসে সাংবাদিক সম্মেলন সেরে নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। শুভেন্দুর সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য শুরু করতে যান। তখন আবার প্রেস কর্নারে বসে বক্তব্য শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী।
অন্যদিকে এভাবে প্রোটোকল লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কারণ মুখ্যমন্ত্রী যখন বলতে যান তখন জায়গাটি ছেড়ে দেওয়াই নিয়ম। সেটা না করে অযথা জায়গা ধরে রাখা প্রোটোকল লঙ্ঘনের সামিল বলেই অনেকে মনে করছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর ভিডিয়ো তখন দেখা গেলেও বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ আসছে ৪ মার্চ, লোকসভার নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে
এছাড়া এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাজেট পেশের পর এই ঘটনা ঘটেছে। আজ, শুক্রবার এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। বিধানসভায় আসতে পারেন তাঁরা। তবে কখন আসবেন সে কথা এখনও জানা যায়নি। বাজেট পেশ করার সময়ও অধিবেশন কক্ষে হট্টগোল জুড়ে দেয় বিজেপি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রমাগত অনুরোধ তাঁদের চুপ করাতে পারেননি। অর্থমন্ত্রীর ভাষণের মাঝখানেই দু’বার মুখ্যমন্ত্রীকে উঠে হুঁশিয়ারি দিতে হয়। তাতে চাপে পড়ে চুপ করে যান বিজেপি বিধায়করা। তাই প্রতিশোধ নিতেই এমন কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports