কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে আরজি করের নির্যাতিকার সুবিচারের দাবিতে শ্যামবাজার মোড়ে ধরনা শুরু করল বিজেপি। বুধবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় ধরনা কর্মসূচি। ধরনায় হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো প্রমুখ। ধরনা মঞ্চ থেকে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন সুকান্তবাবু।
আরও পড়ুন - ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ
পড়তে থাকুন - আরজি করে খুনের পরে সঞ্জয়ের ফোন এক পুলিশকে? বারাকে গিয়ে ঘুম, সিবিআইয়ের নজরে এএসআই, প্রশ্ন শুনেই ছুট!
সাংবাদিকদের সুকান্তবাবু বলেন, ‘গতকাল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে যা বলেছে তার পরও কলকাতার পুলিশ সুপার এখনও তাঁর পদে রয়েছেন। ভেবে দেখুন পুলিশ সুপার ও মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কতটা নির্লজ্জ। মুখ্যমন্ত্রী কেন পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করছেন না? আদালত আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েছে। এটা প্রমাণ করছে রাজ্য প্রশাসনের ওপর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ১ শতাংশও ভরসা নেই। এর পরও নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদে বসে আছেন ও তাঁর আদরের সিপিকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’

তাঁর দাবি, ‘কাল সুপ্রিম কোর্ট যে প্রশ্নগুলো করেছে তার উত্তর দিতে হবে। তৃণমূলের কেউ উত্তর দিচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নগুলোই সোমবার আমি সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির পক্ষ থেকে করেছিলাম। কেন সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা পাচ্ছি না?’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন করতে হলে আদালতে যেতে হচ্ছে, কারণ গণতন্ত্র নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে আর দরকার নেই। উনি যত তাড়াতাড়ি পারেন গদি ছাড়ুন। বাংলার মানুষকে রেহাই দিন।’
আরও পড়ুন - ‘পশ্চিমবঙ্গের সরকার এখন জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল
তাঁর প্রশ্ন, ‘পুলিশ দেহ তাড়াতাড়ি দাহ করার চেষ্টা করেছে। কারণ একটাই, নইলে আরজি করের নির্যাতিতার দেহ আমরা আরেকবার ময়নাতদন্ত করাতে পারতাম। এই ময়নাতদন্ত অবৈধ। কারণ এই ময়নাতদন্ত সন্ধ্যা ৬টার পরে হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ আছে, সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্ত করতে হলে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। আমার প্রশ্ন, এই তাড়াহুড়ো কেন? উদ্দেশটা কী? ২ বার ময়নাতদন্ত হলে অসুবিধা কার ছিল? কেন তথ্য গোপন করার চেষ্টা? কেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে একজন এএসআই বিশেষ গুরুত্ব দেবে।’
সুকান্তবাবু জানিয়েছেন ৫ দিন চলবে এই ধরনা। প্রতিদিন ধরনা মঞ্চে হাজির থাকবেন তিনি। থাকবেন অন্য নেতারাও।