একদিনের পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটেই সবাই টের পেয়েছেন কত ধানে কত চাল। তাঁদের দাবি, ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের জোগান বন্ধ করা এবং কমিশন বৃদ্ধি। এই দুটিই মূল দাবি। তবে তার সঙ্গে রয়েছে আরও বেশ কিছু দাবি। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল সংস্থার ডিলারদের যৌথ সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউবিপিডিএ)। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে তা প্রত্যাহার করে তারা।দুর্ভোগে পড়া ক্রেতারা বলছেন, কিছু পাম্প খোলা ছিল ঠিকই। কিন্তু তা দিয়ে সামগ্রিক সমস্যা মেটেনি। আর খোলা পাম্পের খোঁজে ঘুরেও বেড়াতে হয়েছে অনেককে। যেখানে তেল মিলেছে, সেখানে গাড়ির লম্বা লাইনও চোখে পড়েছে। অনেকে অপেক্ষা করেও ভরতে পারেনি জ্বালানি। এমনকী লম্বা লাইনের জেরে কোভিড বিধি শিকেয় উঠেছে।ডব্লিউবিপিডিএ’র যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেনের দাবি, ‘রাজ্যের ৯০% পাম্পই তেল কেনাবেচা বন্ধ রাখার কর্মসূচিতে সামিল হয়। তবে বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বর্ষার সময়ে ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল বিক্রি বন্ধ রাখা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকবেন। তাই তোলা হয়েছে কর্মসূচি। আইওসি–কেও দাবি জানানো হয়েছে।’ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরাম সূত্রে খবর, রাজ্যে আইওসির ১৪১৯টি পাম্পের মধ্যে ১০৩৭টি খোলা ছিল। দুই সংস্থার বহু পাম্প বন্ধ থাকায় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। সব নীতিই জাতীয় স্তরে ঠিক হয়। তাই রাজ্যে আলাদা করে কিছু করার নেই। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কথা হবে। মানুষের সমস্যা হোক এটা কাম্য নয়।