ঘরের মধ্যে তারস্বরে গান চলছে—বহত পেয়ার করতে হ্যায় তুমকো সনম। আর ওই ঘরে আটকে রাখা হয়েছে এক যুবককে। ফাঁদ পেতে ওই যুবককে সোনাগাছির যৌনপল্লিতে আটকে রেখে চলে জুলুমবাজি। ঘিরে রয়েছে অর্ধনগ্ন কয়েকজন পতিতা। আর এভাবেই ওই যুবকের কাছ থেকে অনলাইনে টাকা হাতানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এখানে কয়েকজন পতিতা থাকলেও এই টাকা নিয়েছে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। মোট ৫৭ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়ার পর চলে বেধড়ক মারধর। তারপর যুবককে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরেই দুষ্কৃতী দলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করল উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের উপর যখন জুলুমবাজি করা চলছিল তখন তিনি চিৎকার করেছিলেন। কিন্তু ঘরে গান চলার ফলে এই চিৎকার বাইরে আসেনি। গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতীর নাম সন্তু হালদার। অভিযোগকারী ওই যুবক পুলিশকে জানান, কদিন আগে তিনি চাঁদনি চক এলাকায় বৈদ্যুতিন সামগ্রী কিনতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অচেনা এক ব্যক্তি তাঁকে ফোনে বলে, তাঁর মানিব্যাগ রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। বড়তলা এলাকায় একটি সিনেমা হলের সামনে এলে তা মিলবে। এই কথা শুনেই ওই যুবক সিনেমা হলের সামনে যান।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান–সহ ৭ সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, বড় ভাঙন
সিনেমা হলের সামনে যেতেই মানিব্যাগটি দেওয়ার নাম করে সোনাগাছির একটি ঘরে তাঁকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে কয়েকজন পতিতা তাঁর সঙ্গে অসভ্যতা করতে থাকে বলে অভিযোগ। আর ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘরের ভিতর আটকে রেখে টাকা দেওয়ার দাবি করতে থাকে। যৌনপল্লিতে এসেছে সেই ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে বলে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয়। আর অনলাইনে ৫৭ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর ভিতরে আটকে রেখে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে বয়ান দিয়েছেন তিনি পুলিশকে। টাকা দিয়ে দিলে এসব ফাঁস হবে না বলা হয়।