আইপিএস অফিসার নন, তারপরও কয়েকজনকে আইপিএসের জন্য সংরক্ষিত পদে বসানো হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছিলেন যে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুভেন্দু যে অভিযোগ করেছেন, সেটা পুরোপুরি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। আর তারপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতে বেশ চাপে পড়তে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী যে দাবি করেছেন তা যদি প্রমাণ করতে না পারেন অথবা সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। আর তৃণমূল কংগ্রেস এই সুযোগ ছাড়বে না। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য– রাজনীতি জমজমাট হয়ে উঠল। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের নাম এবং পদমর্যাদা তুলে ধরে দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মানা হয়নি। তাঁর দাবি, পুলিশ সুপারদের আইপিএস হতে হয়। এমনই নির্দেশিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আইপিএস নন এমন পুলিশ অফিসারদের আইপিএসের জন্য নির্ধারিত পদে বসানো হয়েছে। শুভেন্দুর এই তথ্যকে পুরোপুরি ভুয়ো বলে দাবি করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ জয়ন্তকুমার রায়ের সন্ধান চাই’, বিজেপি বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার
অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের অফিসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম পালন করা হয়েছে। এমনই দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তার পরও নিজের অবস্থানে অনড় শুভেন্দু। শুভেন্দুর টুইট রিটুইট করে দাবি করা হয়েছে, এসব তথ্য মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম মেনেই যাবতীয় কাজ করা হয়েছে। শুভেন্দু লিখেছিলেন, ‘২০২৪ সালের ২১ মার্চ জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন সব রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশ সুপার এবং স্পেশাল পুলিশ সুপার পদে থাকা সমস্ত নন–ক্যাডার অফিসারকে অবিলম্বে বদলি করে দিতে হবে এবং কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। পুলিশ সুপারের পদটা ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের ক্যাডারের অফিসারদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।’