আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্থার ঘটনায় প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক অডিয়ো টেপ। সোমবার তেমনই একটি টেপ প্রকাশ করে দাবি করা হয় উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। এমনকী, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার পিছনে ২ মন্ত্রীর হাত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই ভিডিয়োতে।ছাত্রদের তরফে প্রকাশ করা ওই অডিয়ো ক্লিপে বিশ্বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জুয়েল রানা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাক্র সাহেব সিদ্দিকির কণ্ঠস্বর রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কথোপকথনে শোনা যাচ্ছে,প্রথম ব্যক্তি: গোলাম রব্বানি এবং ববি দা পুরোপুরি বলে দিয়েছেন। আমাকে এক সপ্তাহের মতো সময় দিয়েছিল। বলেছেন, তুমি বেরিয়ে যাও, নতুন উপাচার্য আসবে, তোমাকে বলে দিলাম আজকে। কে আসবে সেটাও জানি, ওটা কোনও ব্যাপার না। ও সায়নী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। ও মেয়াদটা বাড়াতে চাইছে। কিন্তু ওকে ডেট দিয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওকে বের হতেই হবে। কিন্তু ওকে অপমান করে তাড়াতে বলছে। সেটা পারবে কি?দ্বিতীয় ব্যক্তি: সেটা কি নেতৃত্ব বলছে?প্রথম ব্যক্তি: একদম। কিন্তু সেটা তুমি আর আমি জানব জাস্ট।দ্বিতীয় ব্যক্তি: সেটার প্রমাণ আছে তো? না কি পরে উল্টে যাবে যে আমরা বলিনি ওরা নিজের মতো করেছে?প্রথম ব্যক্তি: নাদিমুল সাহেব আমার সামনে বসেই ফোন করলেন।ছাত্রদের দাবি, এই অডিয়ো ক্লিপে স্পষ্ট উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাতে গিয়াসউদ্দিনদের পাঠানো হয়েছে।এরকম কোনও পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক। তিনি বলেন, ‘উপাচার্যকে আমি কেন সরাতে যাব? আমার নাম করে যে কেউ যা খুশি দাবি করতে পারে। অডিয়োতে আমার গলার আওয়াজ শোনা গিয়েছে কি?’