আমফানের দাপটে কলকাতায় বিপুল হারে বড় গাছ উপড়ানোর ফলে লাফিয়ে বাড়বে বায়ুদূষণের মাত্রা, সতর্ক করলেন পরিবেশবিদরা।ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নির্বিচারে ধ্বংস হয়েছে শহরের সবুজ আচ্ছাদন। কলকাতা পুরসভার হিসেবে ৫,০০০ গাছ উপড়েছে বলা হলেও পরিবেশকর্মীদের দাবি, প্রায় ১০,০০০ গাছ নষ্ট হয়েছে। এর জেরে তীব্র প্রভাব পড়তে চলেছে কলকাতার বায়ুদূষণ মাত্রায়, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র নাথ ঘোষের কথায়, ‘রাস্তার পাশের প্রায় এক তৃতীয়াংশের বেশি গাছ ধ্বংস হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। এর ফলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে লকডাউনের শেষে যখন প্রায় ৮ লাখ গাড়ি পথে নামবে, তখন দূষণের মাত্রা ২.৫ গুণ বাড়বে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ।’ লকডাউনের জেরে যান চলাচলের হার উল্লেখজনক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় বায়ুদূষণের মাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই নামিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল কলকাতার বৃক্ষরাজি। কলকাতা পুরসভা প্রশাসক পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শহরের সবুজ ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা গাছ লাগানো অভিযান শুরু করব।’তবে তাঁর প্রাথমিক চিন্তা কলকাতাজুড়ে রাস্তায় পড়ে থাকা উপড়ে পড়া গাছ সরানো। জরুরি ভিত্তিতে সেই কাজে হাত দিয়েছে পুরসভা, দাবি দেবাশিসবাবুর। তাঁর দাবি, একটি পূর্ণ আকারের গাছের ক্ষতিপূরণ করতে ১০টি গাছ নাগানো জরুরি। শহরের পুরবিধিতেও তেমনই নির্দেশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মেয়র পারিষদ। আমফানের হানায় শুধুমাত্র রবীন্দ্র সরোবর এলাকাতেই ২০০ গাছ উপড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএমডিএ-র একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুধীন নন্দী। তিনি জানিয়েছেন, রবীন্দ্র সরোবর ও সংলগ্ন এলাকায় ঝড়ে পড়ে যাওয়া কংপক্ষে ১০০ গাছ পুনর্বপণ করা হবে।