‘পোস্ট ডিলিট করে দিন। আর ভবিষ্যতে এরকম কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সেটা মেনে না চললে আইনের নির্দিষ্ট ধারার আওতায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে এমনই নোটিশ পাঠানো হল। এমন কয়েকজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাঁরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছিলেন। সরাসরি কয়েকজন ‘এক্স’ পোস্টের নীচেই সেই নোটিশ দেওয়া হয়। কোনও পোস্টে তরুণী চিকিৎসকের পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছিল। কোনও পোস্টে আবার বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর সেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেছেন, ‘সাধারণ নাগরিকদের ভয় দেখানোর পরিবর্তে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে যদি মনোনিবেশ করত কলকাতা পুলিশ, (তাহলে কাজে দিত)।' আপাতত অবশ্য সিবিআই তদন্ত করছে।
'মানুষের মুখ বন্ধ করছে মমতা সরকার', উঠল অভিযোগ
লেখক শেফালি বৈদ্য অভিযোগ করেন, 'আমার বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে স্রেফ কয়েকটি প্রশ্ন করার জন্য কলকাতা পুলিশের থেকে হুমকি দেওয়া চিঠি পেলাম। কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর যে দমিয়ে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটা।'
সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের নির্দেশে ‘ভয়’ পেয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন না। বরং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে, তারপর নিজের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে, উঠল অভিযোগ
নিজেকে একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া হিসেবে দাবি করা এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের তিন-চারজন আধিকারিক। তাঁরা পুলিশের উর্দি পরেছিলেন। তাঁরা ‘ভদ্রভাবে’ পোস্ট ডিলিট করে দিতে বলেন। যে পোস্ট ডিলিট করে দিতে বলেন, তা অবশ্য সরাসরি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে ছিল না বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী। যিনি আরজি করের ঘটনা নিয়েও একাধিক পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: Bandh effect in WB: বনধে মমতার কলেজেই ক্লাস ‘বন্ধ’, ছন্দে কলকাতা, ট্রেন-মেট্রো চলছে? জেলায় কী হাল?
আক্রমণ মালব্যের
আর সেই বিষয়টি কলকাতা পুলিশ এবং মমতা সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন মালব্য। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ এবং তাদের মধ্যরাতের ছলচাতুরি কোনওদিন শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। রাত ১ টা ৩৭ মিনিটে লোকজনকে পোস্ট ডিলিট করতে বলছে। হাস্যকর।’