সোমবার তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন, তারপরই লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে দল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, কাকলি ঘোষদস্তিদার লোকসভায় তৃণমূলের নতুন চিফ হুইপ হচ্ছে। এদিকে লোকসভার ডেপুটি লিডার হলেন শতাব্দী রায়। এর আগে গতকাল অবশ্য কল্যাণ বলেছিলেন, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি আরও কিছুদিন তাঁকে মুখ্য সচেতক পদে দায়িত্ব সামলাতে বলেছেন। অভিষেক নাকি কল্যাণের সঙ্গে ৭ অগস্ট দেখা করবেন বলেও দাবি করেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। তবে তার আগেই দলের তরফ থেকে কল্যাণ একপ্রকার বাইরের দরজা দেখিয়ে দেওয়া হল। (আরও পড়ুন: 'বড় কিছুর' জল্পনার মাঝে অনুষ্ঠিত NDA-র বৈঠক, সাংসদদের কী বললেন মোদী?)
আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় কঠিন পিচে রাজ্যের 'দুসরা', বকেয়া ভাতা কি তবে পাবেন না সরকারি কর্মীরা?
গতকাল মমতার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর কল্যাণ দাবি করেছিলেন, ভার্চুয়াল বৈঠকের সময় দিদি (মমতা) বলেছেন যে দলের সাংসদদের সমন্বয়ের অভাব আছে। তাই দোষটা তাঁর উপরেই চাপছে। সেই পরিস্থিতিতে লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বলে দাবি করেন কল্যাণ। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, মমতা যাঁদের সাংসদ করেছেন, তাঁদের অনেকেই লোকসভায় আসেন না। দক্ষিণ কলকাতা, ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া, উত্তর কলকাতার সাংসদরা কার্যত সংসদে আসেন না। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির আবহে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকাকে 'তোপ' ভারতীয় সেনার!)
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, 'মমতাদি আমার দোষ দেখতে পারে। অন্য কারও দোষ দেখতে পারে না। আমার দাম ফুরিয়ে গিয়েছে। আমি বড়লোকের ছেলেও নই। কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড থেকে পড়েও আসিনি।' কল্যাণ দাবি করেছেন, মমতা বলেছেন যে লোকসভার সাংসদরা নিজেদের মধ্যে চুলোচুলি করছেন। কিন্তু যাঁরা তাঁকে গালিগালাজ করছেন, তাঁদের কি বরদাস্ত করা উচিত? মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে দলের কাছেও নালিশ করেছিলেন। কিন্তু যিনি অপমান করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে দল তাঁকেই দোষারোপ করছে বলে আক্ষেপ করেছেন কল্যাণ। সেইসঙ্গে কল্যাণ দাবি করেছেন, তিনি এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছেন যে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন।