‘দেশ চাইছে মমতাদিদিকে’। ইন্ডিয়া ওয়ান্টস মমতা দিদি। লিখলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কার্যত ইন্ডিয়া জোটের নেতত্ব যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেকারণে গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের নেতা কর্মীরা আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। এবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সেই আওয়াজকেই ফের এগিয়ে নিয়ে গেলেন। মহুয়া লিখেছেন, ইন্ডিয়া ওয়ান্টস মমতা দি।
এবার মহুয়া মৈত্রর এই পোস্টের পরে নানা জনে নানা কথা লিখেছেন। একজন লিখেছেন, একবার বাংলা থেকে বেরিয়ে দেখুন। যে কোনও একটা সামাজিক ইস্যু নিয়ে মিছিল করুন। ( লড়াই করার জন্য অনেক ইস্যু রয়েছে) তখন সকলেই আপনা থেকেই দাবি তুলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ভারত চায় কি চায় না।
অপর একজন লিখেছেন, দুঃখিত। আপনার সাহসিকতাকে আমরা প্রশংসা করি। কিন্তু এই নেতৃত্ব সংক্রান্ত ইস্যু তোলার এটা উপযুক্ত সময় নয়। এখন সময় হল একটি শক্তিশালী বিরোধী দল তৈরি করা। এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করার জন্য এখন শক্তিশালী বিরোধী শক্তি দরকার।
অপর একজন লিখেছেন ভারত কেবলমাত্র রাহুলজীকে চায়। একজন লিখেছেন কংগ্রেস তো চায় না আপনাকে। অপর একজন লিখেছেন যিনি একমাত্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন রাহুল গান্ধী।
সম্প্রতি নিউজ ১৮বাংলায় একটা সাক্ষাৎকারে জাতীয় রাজনীতির প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে তিনি ইন্ডিয়া জোটে প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন।
ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, আমি ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। আমি কী করব! আই অ্যাম নয় লিডিং দিস ফ্রন্ট। যারা লিডার তাদের এটা দেখা দরকার। তাদের ইউনাইটেড করে দেখা দরকার। তারা করুক আমি থাকব।
সেই সঙ্গেই মমতা বলেছিলেন, বুঝুন অবস্থা! যাদের দেখতে নারি তার চরণ ব্যাঁকা। আমায় দেখতেই পারে না, এসব কথা বলছে। আমি চাই না। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। এখানেই জন্মেছি। শেষ নিঃশ্বাস এখানেই ত্যাগ করব। বাংলাকে আমি ভালোবাসি। আমায় অন্য কিছু হাতছানি দিয়ে ডাকলেও পাবে না। আমি এটা মনে করি আমি এখানে বসেও কিছুটা চালিয়ে যেতে পারি।
মমতা বলেছিলেন,আমার ইস্যুতো আমদানি রফতানি নয়, আমার ইস্যু তো জামদানি। আমার ইস্যু বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।
তবে বাংলার কংগ্রেস নেতৃত্ব পরবর্তী সময়ে বার বার বলার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নন।