হেপাটাইটিস–বি প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় সমীক্ষাতে এই তথ্য উঠে এসেছে। এটা বেশ বড় সাফল্য বাংলার সরকারের কাছে। আজ, মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীপুজোর আগে এই সাফল্য পেয়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী। আজ নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন। আর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমনকী এখনও হেপাটাইটিস–বি প্রতিরোধের কর্মসূচি আরও নিবিড়ভাবে চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে হেপাটাইটিস–বি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ২০২২ সালে গণহারে টিকাকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। তখন প্রসূতি থেকে সদ্যোজাতদের টিকা দেওয়া হয় জোরকদমে। এবার তারই সুফল পেল মা–মাটি–মানুষের সরকার। সম্প্রতি ভারতে প্রথমবার হেপাটাইটিস কন্ট্রোল প্রোগাম অনুষ্ঠিত হয়। ৫ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিস সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা তথ্য খতিয়ে পর্যন্ত দেখা হয়। সেই সমীক্ষা এবার বলছে, পশ্চিমবঙ্গের সফলতার হার অত্যন্ত ভাল। এটা রাজ্য সরকারেরই এই গণ টিকাকরণের ফল।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন’, আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে সপাটে জবাব দিলেন কুণাল
অন্যদিকে হেপাটাইটিস–বি একটি ভাইরাল সংক্রমণ। যা লিভারের ক্ষতি করে। এটার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে শিশুদের শরীরে। তাই টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এই রোগের সংক্রমণের ব্যাপকতার হার ০.০৭ শতাংশ। যা রাজ্যের প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়েও অনেক ভাল। তাই আজকের বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আমি আপনাদের জানাতে চাই যে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ হেপাটাইটিস–বি প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।’
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, হেপাটাইটিস–বি নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড ০.১ শতাংশের কম বা সম সংক্রমণের ব্যাপকতার হার। আর জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেল, পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের ব্যাপকতার হার ০.০৭ শতাংশ। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে আমাদের সাফল্য বেশি ভাল। আর আগামীদিনে এই কর্মসূচি আরও দৃঢ়ভাবে পালন করা হবে। যাতে রাজ্য থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায়। দৃঢ় পদক্ষেপের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আগামীদিনে বাংলাকে সম্পূর্ণ হেপাটাইটিস–বি মুক্ত করার সঙ্কল্প নিতে হবে।’