ডেঙ্গি সারা দেশেই একটা বড় সমস্যা। বাংলায় এই মশাবাহিত ডেঙ্গি রোগের আধিক্য দেখা যায়। তবে ২০২৪ সালে তেমন বড় আকার নেয়নি। ২০২৫ সালেও এখনও পর্যন্ত বাংলায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু আতঙ্ক মানুষের মনে সবসময় রয়ে গিয়েছে। জ্বর হলেই মনে হয় ডেঙ্গি হল না তো! তবে এবার এই আতঙ্ক, ভয় কাটতে চলেছে। কারণ আগামী বছরের (২০২৬ সাল) মাঝে ভারতের কয়েকশো কোটি নাগরিক পাবে ডেঙ্গির ভ্যাকসিন বা টিকা। আর এই টিকা বিদেশি নয়। বরং সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে প্যানাসিয়া বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। একইসঙ্গে ডেঙ্গির নতুন ভ্যাকসিনের দেশীয় সংস্করণের নাম ‘ডেঙ্গি–অল।’ এই তথ্য এবার জানিয়েছেন আইসিএমআরের প্রাক্তন মহানির্দেশক বলরাম ভার্গব।
গত পাঁচ বছর আগে ডা. বলরাম ভার্গব যখন আইসিএমআরের অধিকর্তা ছিলেন তখন এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তারপর তা নিয়ে লাগাতার গবেষণা হয়। এই ভ্যাকসিন বাজারে এলে ডেঙ্গি সংক্রমণে ব্যাপক রাশ টানা যাবে বলে মনে করেন ডা. ভার্গব। পরিসংখ্যান বলছে। প্রত্যেক বছর দেশে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হন। আর বাংলায় সেটা গড়ে ৭০ হাজার ধরা যেতে পারে। ডেঙ্গির জেরে মৃত্যুও হয় মানুষের। এখন ‘ডেঙ্গি অল’ ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ভ্যাকসিন ডেঙ্গির চারটি স্ট্রেন থেকেই সুরক্ষা দেবে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দারুণ ফল মিলেছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হলেই ভ্যাকসিনটি বাজারজাত হবে।
আরও পড়ুন: ‘অমিত শাহকে সাধারণ মানুষ ক্ষমতা দিয়েছে, মমতা বলার কে?’ তুমুল আক্রমণ দিলীপের
বাংলায় এখন অত্যন্ত সতর্কতা নেওয়ায় ডেঙ্গি সেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। তা না হলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বেসরকারি নার্সিংহোম ছেয়ে যায় রোগীতে। চিন্তা, টেনশন নিয়ে রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাপিত্যেশ করতে থাকেন। এই দৃশ্য দেখা যায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে। তাই ভ্যাকসিন বের হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গি ভ্যাকসিন আসলে প্রত্যেক বছর মশাবাহিত এই রোগের সংক্রমণ যে ভয়াবহ আকার নেয় তার থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে।