একুশের নির্বাচনের আগে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি তলায় তলায় এক সেটা তুলে ধরা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল বিজেমূল। যদিও মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল কংগ্রেসকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসে। এবার অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তাঁর সম্পত্তি মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল–সহ আরও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে পৌঁছেছিল বলে অভিযোগ। সেখানেই উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো সুমিত মণ্ডলের কথা। এবার এই ভাইপো বিজেপি করতেন বলে ফেসবুকে তুলে ধরলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সুতরাং ফের সামনে চলে এল বিজেমূল তত্ত্ব।
ঠিক কী ফেসবুক পোস্ট করেছেন সেলিম? এদিন একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন মহম্মদ সেলিম। যেখানে চারটি ছবির কোলাজ রয়েছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বসে আছেন সুমিত মণ্ডল। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সুমিত মণ্ডল। ছবি তোলার জন্যই দাঁড়িয়েছেন। তৃতীয় ছবিতে তাঁর নাম এবং কোন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত সেই নথির ছবি এবং চার নম্বর ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির যুব মোর্চার ব্যানারে সুমিত মণ্ডলের ছবি। এই চারটি ছবি একসঙ্গে কোলাজ করে পোস্ট করেছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক।
ঠিক কী অভিযোগ সুমিতের বিরুদ্ধে? প্রাথমিক শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষা (টেট) পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন সুমিত মণ্ডল বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর কাছে ওই পরীক্ষায় পাশ করার শংসাপত্র রয়েছে বলেই দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো সুমিত মণ্ডল। বোলপুর থানায় নিজে গিয়ে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রতের ভাইপো সুমিত–সহ ওই ‘ঘনিষ্ঠ’ মোট ছ’জন টেট না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সুকন্যা–সহ ছ’জনকে টেট পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট নিয়ে আজ আদালতে হাজির হতে হবে।