একুশের নির্বাচনের আগে এবং পরে অভিযোগ উঠছিল, দলের অন্দরে কথা বলার সুযোগ নেই। তা নিয়ে অনেকেই নানা সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। তাতে দলের বিড়ম্বনা বেড়েছে। কিন্তু সরাসরি অশ্রাব্য ভাষায় চিঠি—এটা নজিরবিহীন। তবে এটাই ঘটেছে। এমনই চিঠি এসেছে একের পর এক মুজফফর আহমেদ ভবনে। সিপিআইএমের নেতা–কর্মীরাই এই চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন। একুশের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর এই অশ্রাব্য ভাষায় চিঠি দিয়েছেন শীর্ষ নেতাদের। তবে কেউ কেউ যুক্তিযুক্ত পরামর্শ দিয়েছেন। কোনও কিছুকেই এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে না বলে জানালেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ভার্চুয়াল সভায় পার্টি সদস্যদের কাছে নির্বাচনী বিপর্যয়ের কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি।এখন সাধারণ মানুষের দুয়ারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিপিআইএম নেতারা। তবে সেটা নির্বাচনী বিপর্যয়ের কারণ জানতে। পার্টি সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যুক্তি ও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তার জেরেই চিঠির পাহাড় জমা হয়েছে আলিমুদ্দিনে। সেই চিঠির একটা বড় অংশ পড়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। যেখানে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করা হয়েছে। বাপ–বাপান্ত করা হয়েছে নেতৃত্বের। তবে কিছু চিঠি এসেছে যুক্তিগ্রাহ্য মতামত দিয়েও বলে সূত্রের খবর।এই বিষয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র উল্লেখ করেন, পার্টি নতুন পথের সন্ধানে নেমেছে। তাতে সর্বস্তরের নেতা–কর্মীদের সাহায্য করতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্রথম সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন, তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপিকে এক আসনে বসাতে যে বিজেমূল তত্ত্ব তাঁরা তুলে ধরেছিলেন, সেটা ভুল ছিল। এই প্রথম জনসমক্ষে ভুল স্বীকার করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক।