এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে মুখ খোলেনি রাজ্য। এরইমধ্যে মঙ্গলবার রাজ্যের সব করোনাভাইরাস হাসপাতালে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। তাতে 'দুইয়ে দুইয়ে চার' করলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: খোলা যাবে বই-পাখার দোকান, আর কোন কোন ক্ষেত্রকে লকডাউন থেকে ছাড় দিল কেন্দ্র?
দিনকয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে এক ব্যক্তির গলা শোনা যায়। তিনি দাবি করেন, সেটি বাঙ্গুরের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ছবি। সেখানে করোনা সন্দেহে ভরতি ব্যক্তিদের পাশেই কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে আছে। যে ব্যক্তির গলা শোনা যাচ্ছিল, তিনি দাবি করেন, হাসপাতালে ভরতির পর থেকে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকেরই শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতদেহ সরানো হচ্ছে না। সেই ভিডিয়োটি টুইট করেন বাবুল। ভিডিয়োটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তদন্তের আর্জি জানান তিনি।
আরও পড়ুন : 'ভালো কাজ করেছেন, সুরক্ষা নিশ্চিত করব', চিকিৎসকদের আশ্বাস শাহর
এরইমধ্যে মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, মোবাইলের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে। সেজন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী বা রোগী - কেউই হাসপাতালের মধ্যে ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না।
সেই নির্দেশিকার পর বাবুল অভিযোগ করেন, রাজ্যের সিদ্ধান্ত থেকে কার্যত প্রমাণিত যে ভিডিয়োটি সত্য ছিল। টুইটারে বাবুল বলেন, 'সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, এই ভিডিয়োটি সুপার-ভাইরাল হওয়া সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও সেটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেনি বা হাসপাতালটি বাঙুর নয় বলে ঘোষণা করেনি। যেটা আমাদের এটা বিশ্বাস করার একদম কাছে নিয়ে যাচ্ছে যে, ভিডিয়োটা আসল।'
বুধবার সকালে ছবি-সহ কয়েকটি টুইট করেন আসানসোলের সাংসদ। সেই ছবিতে দাবি করা হয়, এম আর বাঙ্গুরের ভিডিয়োয় গলা শুনতে পাওয়া ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আট দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গেল এক থেকে দুই হাজারে, চিন্তা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত
বাবুল বলেন, 'মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ করার বিষয়টি কার্যত প্রমাণ করে দিল, বাঙ্গুর হাসপাতালের ভিডিয়ো ভুয়ো নয় - ধন্যবাদ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এখন আমি আরও একটা তথ্য নিয়ে এলাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আমার আর্জি, এই তথ্যটির বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলুন। এটা কি সত্যি? '