
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কেন্দ্র অভিযোগ তুলেছে, রাজ্যের সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ‘হুমকি চিঠি’ পাঠাল মোদী সরকার। নবান্নে সেই চিঠি আসতেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা এখন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। সেটা অবশ্য বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষকে তিনি জানিয়েছেন। এবার গ্রামীণ আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ না করলে আবাস যোজনার টাকা ছাড়া হবে না। এই চিঠিকেই ‘হুমকি চিঠি’ হিসেবে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই হুমকি চিঠির ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের পাঠানো ওই চিঠির পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নয়াদিল্লিকে পত্রাঘাত করতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কেন্দ্রের শর্ত মেনেই আবাস যোজনা প্রকল্প বাস্তবায়িত করছে রাজ্য সরকার। অনিয়ম রুখতে নবান্ন জেলাশাসক এবং বিডিওদের নির্দেশ দিয়েছিল। কেন্দ্র টাকা দিতে টালবাহানা করছে বলেই এমন চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নবান্নের দাবি। হঠাৎ নতুন করে কেন্দ্রের এই চিঠি নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র কিছু নতুন শর্তও চাপিয়েছে।
ঠিক কী বলা হয়েছে চিঠিতে? মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবাস যোজনার অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। বিডিও–সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও শোকজ করতে বলা হয়েছে। এমনকী কেন্দ্রের নির্দেশ কতটা মানা হয়েছে সেটা ১০ মার্চের মধ্যে নয়াদিল্লিকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। এসব না করলে আবাস যোজনার টাকা পাঠাবে না কেন্দ্র। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের অফিসারদের দাবি, কেন্দ্র যে সব অভিযোগ এনেছে সেগুলি তেমন গুরুতর নয়। কারণ সেগুলি মানা হয়েছে। তারপরেও কেন্দ্র রোজ নিত্য নতুন বাহানা করছে।
ঠিক কী বলছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী? এই হুমকি চিঠির বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্র রোজ একটা করে অজুহাত দেখাচ্ছে। এটা সংকীর্ণ রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। অন্যান্য রাজ্যে গেলে এখানের চেয়ে বেশি অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যাবে। এখানে অনেক স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয়। একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা অনেক এগিয়ে। সেই জন্য কেন্দ্রীয় সরকারই একাধিকবার দরাজ শংসাপত্র দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। এখন রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দিচ্ছে। সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports