কলকাতা হাইকোর্টের এই কড়া বার্তার পর রেলকর্মীদের আর বাড়তি সময় কাজ করতে হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিগন্যাল ব্যবস্থা যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁদের বাড়তি সময় কাজ করালে বড় দুর্ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থার সঙ্গে যাত্রীদের সুরক্ষা জড়িয়ে।
কড়া বার্তা রেলকে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে আগে বহু প্রশ্ন উঠেছিল। তারপরও রেল কর্মীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগ উঠলেও একই ঘটনা ঘটেই চলেছিল। তাই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন রেল কর্মী। এবার তা নিয়ে কড়া বার্তা রেলকে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তার জেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রেল কর্মীরা। কারণ ওয়ার্কিং আওয়ার্সের বেশি সময় কাজ করানো উচিত নয় কর্মীদের বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে ওয়ার্কিং আওয়ার্সের বেশি সময় কাজ কর্মীদের অবসাদের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন বিচারপতিরা। রেলকর্মীরা এই সমস্যা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতিরা তাঁদের পর্যবেক্ষণ জানান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘আশা করছি কলকাতা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ মাথায় রাখবেন রেল কর্তৃপক্ষ। আর তাই তাঁরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। এমনকী নিশ্চিত করবেন কর্মীরা যেন বরাদ্দ সময়ের বেশি কাজ না করেন।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে কর্মীদের অতিরিক্ত কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগকে নিয়ে ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন রেলকর্মীরা। এই কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্রেনের সিগন্যাল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগ, এই কর্মীদের কাজের সময় ৮ ঘণ্টা। সেখানে তার থেকে বেশি সময় কাজ করতে হয়। এমনকী ১২ ঘণ্টা কাজও করতে হয়। এমন অনেক কর্মী আছেন যাঁদের টানা ২৪ ঘণ্টার কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। কখনও কখনও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাজের সময় জানিয়ে দেওয়া হয়।