আবার এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দাড়িভিট কাণ্ডের তদন্তে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিতর্কে আন্দোলনে নেমে গুলিবিদ্ধ হন দুই প্রাক্তন ছাত্র। এই মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বুধবার অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন। এখানে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। তাই এনআইএ তদন্তের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যের নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ঠিক কী ঘটেছিল দাড়িভিটে? ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। সেকানে অবরোধ থেকে ইট–পাথর ছোড়া এবং বোমা–গুলিও চলে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণ নামে দুই প্রাক্তন ছাত্রের। তখনই ছাত্র মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়। আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, দুই যুবকের মৃত্যুর তদন্ত সঠিক পথে এগোয়নি। ওই ঘটনার পরে সিআইডি তদন্তভার নেয়। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, কোনও শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়। যা সিআইডি এখনও কোন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা শনাক্ত করতে পারেনি। তাতে বেশ ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এই ঘটনা থেকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেছে উচ্চ–আদালত। এমনকী রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আদালতের মন্তব্য, ‘দূর থেকে গোটা ঘটনাক্রম দেখছেন। তাঁরা জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে এতটাই ভরসা করে যে তাঁদের থেকে রিপোর্ট চেয়েই দায়িত্ব সেড়েছে। এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’