দিঘা এখন আরও বেশি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠছে। কারণ এখানে সমুদ্রসৈকত ছাড়াও এবার থেকে মিলবে জগন্নাথ মন্দির। আর এই জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথধামের উদ্বোধন করবেন। এমনটাই ঠিক আছে। এবার দিঘার আইনশৃঙ্খলা এবং নজরদারির জন্য পৃথকভাবে উচ্চ পদমর্যাদার এক অফিসারকে রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি মামলার শুনানিতে দিঘার জন্য একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। যা নিয়ে এখন জোর তৎপরতা চলছে।
এই সৈকতনগরীর হোটেলগুলিতে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই সেখানে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাড়তি টাকা রোজগারের জন্য পর্যটকদের নথি যাচাই না করে হোটেল ভাড়া দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বাঁশদ্রোণী এলাকার এক যুবতীর অভিযোগ, ২০২৪ সালে বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা। আর সেই বন্ধুত্বের সুযোগেই সেপ্টেম্বর মাসে ওই যুবতীকে দিঘা নিয়ে যায় যুবক। সেখানের একটি হোটেল ভাড়া নিয়ে তিন যুবকের সঙ্গে একই ঘরে থাকতে বাধ্য করা হয়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার দেউলবাড়িতে দক্ষিণরায়ের আতঙ্ক, রাতে পাহারায় গ্রামবাসীরা, বন দফতর খাঁচা বসাল
ওই যুবতীর আরও অভিযোগ, তাঁর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে হোটেলের রুমে তিনজন যুবকের লালসার শিকার হতে হয়। এমনকী সেইসব অশ্লীল ফটো এবং ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়। তারপর সেইসব ছবি–ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখানো হয়। টানা দু’দিন ধরে ওই যুবকরা তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালায়। কাউকে বিষয়টি জানালে খুব খারাপ হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর দিঘা থেকে ফিরে আসেন ওই নির্যাতিতা যুবতী। আর ওই যুবকের বিরুদ্ধে বাঁশদ্রোণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।