মঙ্গলবার সকালে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা ঘটে গেল উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক বাইক, সাইকেল, মোটর ভ্যানকে ধাক্কা মারল যাত্রীবাহী বাস। ঘটনায় কমপক্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এদিন সকালে বাসন্তী হাইওয়ের উপরে এই দুর্ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে, এদিনই সকালে হাওড়ার খাঁপাড়ার মোড়ে আরও একটি পথ দুর্ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সরাসরি ঢুকল সেলুনে, মহিষাদলে তুলকালাম কাণ্ড, আহত ২০
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএন ১৬/১ রুটের একটি বাস এদিন একের পর এক বাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যান এবং সাইকেলে ধাক্কা মারে। বাসটি বসিরহাটের সরবেড়িয়া থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় নেপাল মোড় এলাকায় বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। প্রথমে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও পরে অন্যান্য যানবাহনে ধাক্কা মারে। শেষে রাস্তার পাশে থাকা একটি ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মেরে বাসটি দাঁড়িয়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে একজনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। এছাড়াও অন্যান্যরা আহত হন। আহতদের মধ্যে বসে অনেক যাত্রীও রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এদিন সকালে দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকা জনবহুল হলেও কার্যত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা এদিন অবিলম্বে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়নের দাবি জানান। পরে আরও বেশি সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাসের চালক এবং খালাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও, বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসে যাত্রী ভর্তি থাকা সত্ত্বেও স্বাভাবিকের থেকে বেশি গতিতে যাচ্ছিল।
এদিকে, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ আরও একটি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে হাওড়ায় খাঁপাড়ার মোড়ে। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক মুম্বই রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে হাওড়াগামী একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সাইকেল এবং দুটি বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাববেড়িয়া হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এই ঘটনাতেও স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ আনে।