
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ফের একবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জেরে চাকরিহারানো শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিকে রাজ্যকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি বলেন, যে কোনও করদাতা রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন।
এই মামলায় এদিনের শুনানিতে ফের একবার মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের আইনজীবী। সরকারের তরফে দাবি করা হয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে কোনও ভাবে প্রভাবিত হবেন না মামলাকারীরা। ফলে তাঁদের এব্যাপারে মামলা করার অধিকার নেই। পালটা ফিরদৌস বলেন, যে কোনও করদাতা রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। করের টাকা কী করে খরচ হচ্ছে তা জানার অধিকার প্রত্যেক করদাতার রয়েছে। এর পর এই মামলার শুনানি শেষ বলে ঘোষণা করে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের SSCর গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা চাকরি হারিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। গত ১৫ মে চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য যথাক্রমে মাসিক ২৫ হাজার টাকা ও ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন এই মামলার রিভিউ পিটিশনের নিষ্পত্তি না হচ্ছে ততদিন তাঁরা ভাতা পাবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের কী করে রাজ্য সরকার ভাতা ঘোষণা করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে আদালত রাজ্যকে প্রশ্ন করে, ভাতা দিয়ে কী পাবে রাজ্য সরকার? বসিয়ে রেখে কাউকে ভাতা দেওয়া হবে কেন? একের পর এক রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা পড়বে আর এরা বসে বসে ভাতা পেতে থাকবেন? প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি সিনহা।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports