আমদাবাদের ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাসকুমার রমেশ। বিমান দুর্ঘটনায় যখন চারিদিকে হাহাকার, তখন খানিকটা যেন খুশি নিয়ে এল এক যাত্রীর জীবিত থাকার খবর। বিধ্বস্ত বিমানের সিট নম্বর ১১এ-তে বসা ওই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর তাঁর এই অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যাওয়ার ঘটনায় হতবাক গোটা বিশ্ব।এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কীভাবে বেঁচে ফিরলেন ওই ব্যক্তি?
৩৮ বছর বয়সি রমেশ, ব্রিটিশ নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি বিমানের বাঁ দিকের ইমার্জেন্সি দরজার পাশে ১১এ নম্বর সিটে বসে ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে আহত অবস্থায় সিভিল হাসপাতালের ভর্তি রয়েছে তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি কীভাবে বেঁচে গেলাম জানি না। কিছুক্ষণের জন্য আমারও মনে হয়েছিল আমিও মারা যাচ্ছি। কিন্তু যখন চোখ খুললাম, তখন আমি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলাম। আমি দেখলাম গেট ভাঙা এবং একটি ছোট ফাঁক ছিল - আমি তা দিয়ে লাফিয়ে পড়েছিলাম।'
আরও পড়ুন-ফাঁড়া কাটছে না এয়ার ইন্ডিয়ার, বিমানে বোমাতঙ্ক, ১৫৬ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ করল
বোয়িং-এর বিমানগুলির ডিজাইন প্রায় একই রকম হয়। তবে বিমান সংস্থাগুলি তাদের সুবিধামতো বিমানে বসার ব্যবস্থা করতে পারে। অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার এই আরোহী ঠিক যে সিটে বসেছিলেন, সেটি হল বিমানের বিজনেস ক্লাসের ঠিক পিছনের সিট ১১এ। এই আসন থেকেই ইকোনমি ক্লাসের সিট বা আসন শুরু হয়। ইকোনমি ক্লাসের ফার্স্ট রো বা প্রথম সারির ১১এ আসন হল উইনডো সিট। অর্থাৎ জানালার ধারেই বসেছিলেন রমেশ। তবে বোয়িং ৭৩৭-৯০০ এবং ৯০০ইআর-এ, সিট ১১এ জানালা বিহীন হিসেবে পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। এর উদাহরণগুলির মধ্যে অন্যতম হল আইরিশ বিমান সংস্থা রায়ানএয়ার। রায়ানএয়ারের আসন ১১এ-তে একটিও জানালা নেই। যার জন্য বিমান সংস্থাটি একাধিকবার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন-ফাঁড়া কাটছে না এয়ার ইন্ডিয়ার, বিমানে বোমাতঙ্ক, ১৫৬ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ করল
কিন্তু রমেশকে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, সিট ১১এ-র জন্য রমেশ অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছেন। তাহলে কী এবার রায়ানএয়ারের মতো বিমান সংস্থাগুলি বা বোয়িং ৭৩৭ পরিচালনাকারীরা কি ওই সিটের জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া শুরু করবে।