
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন? এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। একটা অংশ চান শুভেন্দু অধিকারীকে করা হোক রাজ্য সভাপতি। আর একটা অংশ সেটার বিরোধিতা করছেন। এই আবহে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি রাজ্য সভাপতি ছিলেন। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী। নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়ে নানা চর্চা চলছে বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে। অনেকের নাম ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তথাগত রায় থেকে অর্জুন সিংরা। ফলে একটা জমাট বাঁধা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন তেমন কোনও সাফল্য আসেনি। বরং ব্যর্থতাই দেখতে হয়েছে।
এদিকে বঙ্গ–বিজেপির যেটুকু সাফল্য এসেছিল সেটা দিলীপ ঘোষের জমানায়। যাঁকে দলের অন্যান্য নেতারা সাইড করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এখন এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের নামও ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন একটা আবহে যে যাঁর মতো নাম ভাসাচ্ছে। আর তা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘প্রত্যেকেরই দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। বিজেপির প্রতি সুকান্ত মজুমদারের দায়বদ্ধতা আছে। সাংসদ থাকলে এবং না থাকলেও সুকান্ত বিজেপিরই। যদি একজন সাংসদও বিজেপির না থাকে, এটা যদিও হবে না। তবুও কথার কথা বলছি, সুকান্ত তখনও বিজেপিই থাকবে।’ এই কথা বলে তিনি কাকে নিশানা করলেন? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: আবার নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল শাসক দল
অন্যদিকে বাংলায় একুশের নির্বাচনের পর থেকে হারছে বিজেপি। পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভা এমনকী সমবায় নির্বাচনেও পর পর হেরেছে বিজেপির। বাংলায় সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে কমে এখন ১২ হয়েছে। বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে ৬৬’তে নেমেছে। এরপর রাজ্যের একের পর এক উপনির্বাচনে ভরাডুরি হয়েছে বিজেপির। আর তা সবটাই সুকান্ত মজুমদারের আমলে। সবকটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। এমনকী, মাদারিহাটেও উপনির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল। তাই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থাকুক এটা অনেকেই চান না। কিন্তু বালুরঘাটের সাংসদের বক্তব্য, ‘অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে তত্কালীন নেতারা, যাঁরা জনসঙ্ঘের নেতা ছিলেন, পরবর্তী সময়ে যাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি করেছিলেন আমি, তাঁদের ইতিহাস এবং আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতাটা সবার সামনে এনেছি। দায়বদ্ধতা প্রত্যেকেরই থাকা উচিত। যাঁরা বিভিন্ন দল করে, সেই দলের প্রতি থাকা উচিত।’
এছাড়া ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেখানে বিজেপিকে ফল ভাল করতে হলে ফুলটাইম রাজ্য সভাপতি দরকার। সেটাই তথাগত রায় বলেছেন। শুভেন্দুকে সমর্থন করেছেন। অর্জুন সিংও সুযোগ বুঝে ঋণশোধ করার চেষ্টা করেছেন। কারণ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার পর আবার বিজেপিতে গিয়ে টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন শুভেন্দু। এমন অবস্থায় সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘বিজেপিই আনতে পারবে সুশাসন। ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার তৈরি হবে। আমরা অপেক্ষা করছি পশ্চিমবঙ্গে কবে সুশাসন আসবে।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports