গত ৭ মার্চ বিধানসভায় হট্টগোল করার জন্য বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মখোপাধ্যায়কে বাকি বাজেট অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল বিধানসভা থেকে। উল্লেখ্য, সোমবার বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভাষণের আগে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সেই সময় বারংবার রাজ্যপাল ভাষণ পাঠ না করেই বিধানসভা ছেড়ে চলে যেতে চান। তবে তাঁকে ঘিরে রেখেছেলিনে তৃণমূল কংগ্রেসে মহিলা বিধায়করা। পরে ভাষণের প্রথম এবং শেষ লাইন পরে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেছিলেন রাজ্যপাল। পরে বিজেপি বিধায়কদের এই হট্টোগোলের নিন্দা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর এবার সেই হট্টোগোলের জন্য মিহির গোস্বামী আর সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করা হল।এদিকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল জগগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের অভিযোগ, বিধানসভায় তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন শাসকদলের মহিলা বিধায়করা। তবে রাজ্যপালের চিঠি পেতেই অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে আগামী তিনদিনে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। বিধানসভার অধিবেশনের কাজে তিনি খুব ব্যস্ত থাকবেন। এদিকে রাজ্যপালের চিঠিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে আখ্যা দেন স্পিকার। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি পুরোপুরি ‘পক্ষপাতমূলক’।উল্লেখ্য, সোমবার পুরভোটে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওয়েলে নেমে পড়েন গেরুয়া শিবিরের সব বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে নিজের আসন ছাড়েন। তখন তাঁকে বাধা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে আবারও একাধিকবার রাজ্যপাল বিধানসভা ত্যাগ করতে চাইলে তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালের চেয়ার ঘিরে ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন। প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে বিধানসভা ত্যাগ করেছিলেন রাজ্যপাল।