রাখীবন্ধনের দিনেও রাজনীতির উত্তাপ বজায় রইল বাংলায়। এদিনও নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া সুরে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তার জেরে হুঁশিয়ারি দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর একধাপ এগিয়ে জবাব দিলেন মদন মিত্র। বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসুর কটাক্ষ, ‘লেডি তালিবান যদি দেখতে চান তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। টিকিট কাটার দরকার নেই, কাবুলে যাওয়ার দরকার নেই, কালিঘাটে দেখতে পাবেন।’ আর তাতেই তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি।ঠিক কী বলেছেন তিনি? রবিবার সল্টলেকের বিডি মার্কেটে বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে আয়োজিত রাখীবন্ধন উৎসবে হাজির ছিলেন সায়ন্তন বসু। সেখান থেকে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে সায়ন্তন বলেন, ‘শুধু দাঁতন কেন চারদিকে এই ঘটনা ঘটছে। তালিবানি শাসনে যা যা ঘটছে সেই কায়দায় বাংলাতেও চলছে। লেডি তালিবান যদি দেখতে চান তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। টিকিট কাটার দরকার নেই, তালিবানে যাওয়ার দরকার নেই। কালীঘাটেই দেখতে পাবেন। কালীঘাটে যে লেডি তালিবান থাকে তাকে উদ্দেশ্য করে বলছি।’একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই দেখা গিয়েছে বিজেপি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে এবং আলটপকা মন্তব্য করছেন নেতারা। সেটাই অব্যাহত রইল রাখীবন্ধনেও। সায়ন্তন আরও বলেন, ‘আলাদা রাষ্ট্রের দাবি সবসময় অবৈধ নয়। ঝাড়খণ্ড হয়েছিল বিহারের মধ্য থেকে। আমাদের কথা এখনও পরিষ্কার। পশ্চিমবঙ্গে বিভাজন নয়। কারণ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জিওগ্রাফি বাউন্ডারি তৈরি করে দিয়েছেন। তার বাইরে আমরা যাব না।’এরপরই সাংবাদিক বৈঠক থেকে সায়ন্তনকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের কথা বললে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না।’ আর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বলছেন বারমুডা পড়তে হবে। ওদের সব সময় লেডির দিকে নজর। ওরা হয়ত ‘লেডি কিলার’। তবে বেশি লেডি লেডি করলে মা আসছে ত্রিশূল নিয়ে। খুব সাবধান বিজেপি।’