একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাই চর্চায় উঠে আসছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী কে হবেন? এবার জানা গেল, যিনি আগে ছিলেন তিনিই আবার অর্থমন্ত্রী হতে চলেছেন। হ্যাঁ, তিনি অমিত মিত্র। ২০১১, ২০১৬ সালের পর ২০২১ সালের মন্ত্রিসভায় তিনিই অর্থমন্ত্রী হতে চলেছেন বলে একপ্রকার নিশ্চিত।সূত্রের খবর, অমিত মিত্রকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেবেন বলে স্থির করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী অমিত মিত্র রাজিও হয়েছেন। রবিবার শপথ নেবেন তিনি। তারপর ৬ মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসবেন। মোটামুটি এমনটাই ঠিক হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা থাকায় এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি। তবে এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।টানা ১০ বছর অর্থ দফতরের ভার সামলেছেন অমিত মিত্র। রাজ্যের কোষাগারে অর্থের সংস্থান এবং খরচ সামলানোর ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট করিৎকর্মা। টাকা–পয়সা নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রের কাছে দরবার করতেও তাঁকেই এগিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তিনিও তা দক্ষতার সঙ্গে করেছেন। তাই বিকল্প কোনও অর্থমন্ত্রী না খুঁজে অমিত মিত্রের উপরই ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এবার অমিত মিত্রের কেন্দ্র খড়দহে প্রার্থী করা হয় সেখানকার পুর–প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিনহাকে। কাজল সিনহা ভোটে জিতেছেন। কিন্তু ফল বেরনোর আগেই কোভিডে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর। সেখানে আবার ভোট হবে। অমিত মিত্রকে সেখান থেকেই জিতিয়ে বিধানসভায় আনা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।সূত্রের খবর, রবিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যেরা শপথ নেবেন। তবে প্রথম দফায় সেই তালিকা খুব দীর্ঘ করতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী। আগে গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির মন্ত্রীদের শপথ হওয়ার পরে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন মমতা। তবে কলকাতা–সহ কয়েকটি জেলা থেকে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনা হতে পারে।