সেলস ট্যাক্সের আধিকারিক পরিচয়ে মাঝ রাস্তায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে সব পণ্য নামিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি হাওড়ার হাওড়ার দিল্লি রোডের। প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ট্রাক থেকে সব মিলিয়ে ৭০ লক্ষ টাকার পণ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: 'গোপন ইন্টেল' পাওয়ার পর মার্কিন বাহিনীর কর্তার সাথে বৈঠক বাংলাদেশি সেনা প্রধানের)
আরও পড়ুন: হোটেল থেকে ৮ মাস চলছিল ভুয়ো থানা, ৫০০ টাকায় দিনমজুরদের সাজানো হত পুলিশ!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম দীনেশ কুমার। স্ট্যান্ড রোডের কাছে আর্মেনিয়ান স্ট্রিটের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ট্রাক দাঁড় করানোর আগে একেবারে ফিল্মি কায়দায় পরিবহণ সংস্থার বৌবাজারের অফিসে প্রতারকরা ৪৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায়। এরপর ট্রাকটি দিল্লি রোডে পৌঁছনো মাত্রই দ্বিতীয় অপারেশন শুরু করে প্রতারকরা। দীনেশ সহ আরও বেশ কয়েকজন ট্রাকটির পিছু নেয়। এরপর দিল্লি রোডে নিজেদের সেল ট্যাক্সের অধিরকারিক পরিচয় দিয়ে ট্রাকটি থামায়। (আরও পড়ুন: ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে CBI হানা, আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন CM?)
আরও পড়ুন: '…আমরা সততার পরিচয় বহন করি না', 'যুদ্ধাবস্থায়' থাকা বাংলাদেশ নিয়ে বললেন ইউনুস
জানা গিয়েছে, ট্রাকে মোট ৩০ জন ব্যবসায়ীর পণ্য ছিল। কলকাতা থেকে সেগুলি তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। তবে অভিযুক্তরা জোর করে সমস্ত মালামাল নামিয়ে ট্রাকটি ছেড়ে দেয়। ট্রাক চালক আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা এই সব পণ্য ছাড়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তখন চালক পরিবহণ সংস্থার কর্তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ সংস্থার তরফে বৌবাজার থানায় ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে পুলিশ বৌবাজারের অফিস এবং দিল্লি রোড উভয় জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দীনেশ কুমার নামে ওই অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। পরে তাকে আর্মেনিয়ান ঘাট স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: সমীকরণ বদলাচ্ছে, ইউনুসের চিন সফরের আগেই বেজিংয়ে ‘ইতিবাচক’ বৈঠক ভারতের