মহেশতলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন স্থানীয়রা। গোলমাল শুরুর ৪ ঘণ্টা পরে সেখানে পুলিশের তৎপরতা দেখা যায় বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও ঘটনাস্থল ছিল রবীন্দ্র নগর থানার ঠিক সামনে। এই অভিযোগে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল বিরোধীরাও। আর সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বদলি হলেন মহেশতলার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও রবীন্দ্র নগর থানার আইসি। যদিও পুলিশের দাবি, এটা রুটিন রদবদল।
রবীন্দ্র নগর থানার আইসি মুকুল মিয়াঁকে দার্জিলিংয়ে বদলি করা হয়েছে। মহেশতলার SDPO কামারুজ্জামান মোল্লাকে বদলি করা হয়েছে সশস্ত্র পুলিসের তৃতীয় ব্যাটেলিয়ানে। রবীন্দ্র নগর থানার নতুন আইসি হয়েছেন মালদার রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজনকুমার রায়। মহেশতলার নতুন SDPO হয়েছেন রাজারহাট থানার IC সৈয়দ রেজাউল কবির।
বুধবার ফুটপাথে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে মহেশতলার রবীন্দ্র নগর থানার ঠিক পাশে ফটক বাজারে ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ভাঙচুর হয় একের পর এক দোকান – বাড়ি ও গাড়ি। এর পর পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, সকাল ১১টা থেকে গোলমাল শুরু হলেও পুলিশ ময়দানে নেমেছে অনেক পরে। থানার সামনে গণ্ডগোল হলেও পুলিশকর্মীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। যার ফলে প্রথমে দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি তারা। যদিও বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার এই ঘটনার পিছনে RSSএর মদত থাকতে পারে বলে দাবি করেন।