কসবাকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। কসবায় ল কলেজে গধর্ষণের অভিযোগে কলকাতা সহ গোটা দেশে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এই পরিস্থিতির মাঝেই এদিন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর আগে, কসবাকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য় রাখেন তৃণমূল সাংসদ কল্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই পরিস্থিতির মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে এল বড় আপডেট।
গত কয়েক দিন ধরে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে দিঘা সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে তিনি সেখানে ছিলেন। তবে রথের দিন সকালে কলকাতা শহরে তোলপাড় ফেলে দেওয়া কসবায় ধর্ষণকাণ্ডের খবরের পর জানা যাচ্ছে, রাতেই কলকতায় চলে আসতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সূচি অনুযায়ী, শনিবার তাঁর দিঘা থেকে ফেরার কথা ছিল কলকাতায়। কিন্তু তার আগেই, শুক্রবারই রাতে কলকাতায় ফিরে আসছেন মমতা, বলে খবর। জানা যাচ্ছে, দিঘায় রথযাত্রার অনুষ্ঠান শেষের কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি দিঘা ছেড়েছেন।
( ‘বেনজির ভুট্টোর বাড়ি থেকে এগিয়ে দাউদের বাড়ি’, আঁতকে উঠে ছিলেন Exকূটনীতিক, কী ঘটেছিল পাকিস্তানে?)
ব্রাত্য বসুর বক্তব্য:-
এদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে এমন ঘৃণ্য নারকীয় ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,' এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমরা মর্মাহত। ঘটনায় কোনও ত্রুটি আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে অবং সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ করার জন্য ইতিমধ্যেই উপাধক্ষ্য করে পরিচালনা পর্ষদের সভা ডাকার নির্দেশ দিয়েছে ইনস্ট্রাকশন বিভাগ।'
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য:-
আর জি করের ঘটনার এক বছরের মধ্যে শহরের আরও এক প্রতিষ্ঠানের অন্দরে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল কসবা ল কলেজ। দেশ জুড়ে ঘটনার নিন্দার পারদ ক্রমেই চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,' এই ধরনের ঘটনা রুখতে গেলে আগে মানুষের মানসিকতার বদল দরকার।' তিনি বলেন,' নিরাপত্তা ব্যবস্থা তো আছেই। কিন্তু যদি একজন বন্ধু তাঁর বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, সেখানে নিরাপত্তা কী করতে পারে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে যদি এই ঘটনা ঘটে, সেখানে কি পুলিশ থাকবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো পুলিশ দাঁড় করানো যায় না।' তাঁর প্রশ্ন,'সহপাঠী বা সহকর্মীরাই যেখানে অপরাধ করছে, সেখানে দায়িত্ব কার?'